বশেমুরবিপ্রবি
ক্যাম্পাস ভবন-মাঠে ও হলে দেখা মিলছে বিষধর সাপের, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৩৯ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪৬ PM
ভ্যাপসা গরমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আবারও সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন, রাস্তা, মাঠ, স্কুল, লেকপাড় ও হল সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের।
শনি (১৫ অক্টোবর) ও রোববারও (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলচত্বরে গোখরা সাপ দেখা গেছে। এরআগে গতবছর শীতের প্রথমদিকে ব্যাপকভাবে সাপের উপদ্রব দেখা যায়।
দুর্গাপূজার দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফিরে সাপের এমন উপদ্রব দেখে চরম আতঙ্কে রয়েছেন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ চলাচল ও সাপের বিষ নিবারক ভ্যাকসিনের (অ্যান্টিভেনম) জন্য গত নভেম্বরে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে ক্যাম্পাসকে ঝোপঝাড়মুক্ত রাখা ও জেলা সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের দাবি জানানো হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের নির্দেশে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন জায়গায় সাপের প্রজননক্ষেত্র থাকায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রজাতির সাপের দেখা মিলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক মো. শরিফুজ্জামান বলেন, এর আগেও একাধিকবার সাপের উপদ্রবের কথা জানা গেছে। আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এদের চলাচল। বিশেষ করে এদের প্রজননক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হওয়ায় প্রায়ই এদের দেখা মিলছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট মালি নেই। যারা আছেন তাদেরও দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। নিয়মিত ঝোপঝাড় পরিষ্কার না রাখায় শিক্ষার্থীরা সাপের মুখোমুখি হচ্ছেন।
শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, বিষধর যে সাপগুলোর দেখা মিলছে, সেগুলোর বয়স ৪-৫ মাসের কম নয়। এর মানে ক্যাম্পাসে কোনো মা সাপ অনেকগুলো ডিম ফুটিয়েছে। ফলে উপদ্রব বেশিই দেখা দিচ্ছে। কোনো ধরনের বিপদ ঘটার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
গোখরা প্রজাতির সাপের বিষ মূলত একটি শক্তিশালী সিনাপটিক নিউরোটক্সিন এবং কার্ডিওটক্সিন সমৃদ্ধ বিষ। এ সাপে দংশনের ৪০-৫৫ মিনিটের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই প্রজাতির ১০টির বেশি সাপ মারা হয়েছে।