উন্মুক্ত করা হলো বাংলা ভাষায় প্রথম চ্যাটজিপিটি ‘একুশ’
- তৌফিকুল ইসলাম আশিক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০ PM
বাংলা ভাষাকে প্রযুক্তিগতভাবে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বাংলাদেশি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান ‘ইনটেলসেন্স এ আই’। প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে বাংলা ভাষার যোগসূত্র তৈরিতে তাদের উদ্ভাবন সেন্স.এআই সম্প্রতি উন্মুক্ত করেছে বাংলাভাষার প্রথম লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ‘একুশ এলএলএম’।
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন চ্যাটজিপিটি এটি। এটি যেমন বাংলা ভাষায় মনের জিজ্ঞাসার উত্তর দিবে, তেমনি যেকোনো অজানাকে জানাবে এবং সর্বোপরি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
সেন্স.এআই ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝা ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক অনন্য সংযোজন। এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল তৈরি হয়েছে মেশিন লার্নিং এ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা অবিশ্বাস্যরকম নির্ভুলতা ও নৈপুণতার সাথে বাংলা বুঝতে ও লিখতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি বাংলা ভাষাকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহারের জন্য আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দিবে।
বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে সেন্স.এআই ব্যবহার করে বাংলা ভাষায় যোগাযোগ তৈরি করা সহজতর হবে। বর্তমানে এটি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সেবা দিয়ে আসছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাংলায় চ্যাটবট বা ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের মতো সেবাগুলো পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: এবার হাতের ইশারায় করা যাবে লেনদেন
ইনটেলসেন্স এ আই-এর প্রতিষ্ঠাতা রুম্মান আরেফিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বাংলা ভাষা ও স্বরের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা এবং সেই উদ্দেশ্যেই আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক মডেলগুলোকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে শুরু করি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের উপাত্ত ব্যবহার করে চাহিদা-অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি তৈরিতে আমরা সহায়তা করি। এ পথ ধরেই এলো আমাদের এই নতুন উদ্ভাবন। আশা করছি, বাংলা ভাষাকে আরও এগিয়ে নেবে আমাদের এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল।’
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও উন্নীত করতেও সেন্স.এআই ভূমিকা রাখতে পারে। এই মডেলটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত সংযোজন করা হচ্ছে যার ফলে ব্যবহারকারীর কাছে যে কোন সংলাপ ও যোগাযোগে আরো সহজভাবে উপস্থাপন করা যাবে। অনলাইন বিজনেস, টেলি-মেডিসিন, ই-কৃষি, সরকারি সেবা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও আশা করা যেতে পারে। ইনটেলসেন্স এআই লিমিটেড প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে এটিকে আরো বেশি সক্ষম ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে।