গ্রামীণফোনের ডিজিটাল লাইফস্টাইল সাবস্ক্রিপশন সুবিধা ‘প্রাইম’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৭ AM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৭ AM
নিজেদের পোস্টপেইড প্রোডাক্ট মাইপ্ল্যান ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে ডিজিটাল লাইফস্টাইল সাবস্ক্রিপশন সেবা ‘গ্রামীণফোন প্রাইম’ নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। শনিবার (১৫ জুলাই) লা মেরিডিয়ান ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রোডাক্টটি উন্মোচন করা হয়। দেশে এ ধরনের লাইফস্টাইল সাবক্রিপশন প্রথম, যেখানে আনলিমিটেড ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ও লাইফস্টাইল সুবিধা উপভোগ করা যাবে, যা ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় অনন্য অভিজ্ঞতা যুক্ত করবে।
প্রাইম ব্যবহারকারীরা ভ্রমণ, হসপিটালিটি, ডাইনিং, ই-কমার্স, অটোমোবাইল, আইটি সল্যুশন ও স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন। নিবেদিত রিলেশনশিপ ম্যানেজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা হবে। স্বনামধন্য ও বিলাসবহুল আউটলেটগুলোতে প্রাইম ব্যবহারকারীদের স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে রিওয়ার্ডিং সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়াও, প্রতি তিন মাসে নতুন সব অফার দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি গ্রামীণফোনের উদ্ভাবনী এ পণ্যের প্রশংসা করেন। নুহাশ হুমায়ূন, এলিটা করিম, মোরশেদ মিশু, অমিতাভ রেজা, শিরিন শিলাসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন ‘ফেস অব প্রাইম’ সঙ্গীত শিল্পী প্রীতম হাসান। তিনি গ্রামীণফোনের জন্য একটি বিশেষ গান তৈরি করবেন। গ্রামীণফোন প্রাইমের সুবিধা সম্পর্কেও অনুষ্ঠানে ধারণা দেয়া হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গ্রামীণফোনের ডিজিটাল লাইফস্টাইল সঙ্গী হিসেবে সাধারণ ফোন প্ল্যানকে ডিজিটাল যুগে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী উপযোগী করে তুলতে মাইপ্ল্যান নতুন করে সাজিয়েছে গ্রামীণফোন। উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়তা করতে গ্রামীণফোন প্রাইমে ফরোয়ার্ড থিংকিং কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ অভিজ্ঞতা ও সুবিধা নিশ্চিতে, পণ্যটি ‘প্রাইম’ (সর্বোত্তম) এর ধারণাকে প্রতিফলিত করেছে। যেসব মানুষ নিজেদের পছন্দের ব্যাপারে আপোষহীন তাদের জন্যই গ্রামীণফোন প্রাইম।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণফোনের হাতে তাদের লাইসেন্স তুলে দিয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। আর এই প্রত্যাশাকে সমুজ্জ্বল রেখে গ্রামীণফোন ধীরে ধীরে টেলিকম খাতের শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এমন উদ্ভাবনী শক্তি আর দেশ-জাতির জন্য সর্বদা উন্নত সেবা দানের মানসিকতা ধরে রাখার জন্য গ্রামীণফোনকে আমি অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের মত অপারেটরদেরকে সম্মুখ সেনাপতি হিসেবে কাজ করে যেতে হবে।’
গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘সেবার ডিজাইন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। গ্রাহকদের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যুক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন করছি। আমরা এমন একটি সময়ে রয়েছি, যেখানে আমরা সবাই বহুমুখী জীবনযাপন করছি।
তিনি বলেন, ‘শেয়ার অব লাইফ’ ধারণায় আরও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে গ্রামীণফোন চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ আমরা এখানে একসাথে প্রাইম নামে গ্রামীণফোনের নতুন একটি পণ্যের উন্মোচন উদযাপন করছি। এবং আমাদের বিশ্বাস, এটা টেলিযোগাযোগ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে উদ্ভাবনী ও সবাই সহজে ব্যবহার করতে পারবে এমন ডিজিটাল সল্যুশন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের নিরলস প্রচেষ্টারই অংশ প্রাইম।’