৪ হাজার কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:২০ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:২০ PM
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগের অর্থবছরের চেয়ে এ বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পরিচালন ব্যয় বাদে এ অর্থবছরে নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা মুনাফা ছিল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আর্থিক হিসাব বিবরণী অনুমোদন দিয়েছে। ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বৈঠকে পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বিবরণী অনুযায়ী, গত অর্থবছরের আয় থেকে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়া হয়েছে। আগের অর্থবছরে ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৯৭ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণ ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে। সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে ৬২ দিনে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে তথ্য গোপন করে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে মাসিক প্রতিবেদনে দেখাচ্ছে, সরকারের ঋণ ছিল ৮২ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন: এশিয়ার সেরা ১০০ স্টার্টআপের তালিকা প্রকাশ ফোর্বসের, স্থান পেল বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠান
পর্ষদের বৈঠকে গভর্নর নিয়োগ, সার্বিক অর্থনীতি এবং কৃষি ঋণ বিতরণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুনাফা অর্জন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য নয়। তবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করে। প্রয়োজনের আলোকে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ও করে। এছাড়া রেপো, স্পেশাল রেপো বা তারল্য সহায়তার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেয়। রিভার্স রেপোর মাধ্যমে টাকা তুলেও নেয়। এসব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মুনাফা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরে বেশি আয় করেছে রেপো ও স্পেশাল রেপোর বিপরীতে স্বল্পমেয়াদি ধার দিয়ে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে গত অর্থবছর ৩২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি আগের সাত বছরে দেওয়া ধারের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।