বিশ্ববাজারে চিনির দাম কমলেও দেশে আরও এক ধাপ বৃদ্ধি

চিনি
চিনি  © ফাইল ছবি

বিশ্বাবাজারে দর হারিয়েছে চিনি। সাম্প্রতিক সময়ে সরবরাহ ঘাটতি এবং আবহাওয়া উদ্বেগে ব্যাপক মুনাফা করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্ববাজারে সোমবার (১৭ জুলাই) ভোগ্যপণ্যটির দাম কমলেও দেশের বাজারে আরও একধাপ বেড়েছে চিনির দাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে বিশ্ববাজারে চিনির দাম হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) আগামী অক্টোবরের অপরিশোধিত চিনির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৩ দশমিক ৯৪ সেন্টে। আগের কর্মদিবসে তা ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছিল। সেখান থেকে ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটলো।

একই দিনে সাদা চিনির আগামী অক্টোবরের সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৭৬ ডলার ২০ সেন্টে।

এদিকে সরবরাহ কমে যাওয়া ও বিশ্ববাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয়ের জন্য আমদানিকারক ও মিল মালিকদের এমন দাবির পর ১ সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চিনির দাম বেড়েছে।

খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারি বিক্রেতারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় মিল মালিক ও ডিলাররা মিলে চিনির দাম বাড়িয়েছেন।

সরকার প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দাম ১২৫ টাকা ও প্যাকেট ছাড়া চিনির সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করলেও বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুসারে, গত এক সপ্তাহ আগেও চিনি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

ডিলাররা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম দুই শীর্ষ উৎপাদনকারী ভারত ও থাইল্যান্ডে এল নিনো আবহাওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে বাজারে চিনি সরবরাহের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে হঠাৎ খাদ্যপণ্যটির দাম সামান্য কমেছে।


সর্বশেষ সংবাদ