বিতর্কের মুখে সরানো হলো মাউশির মহাপরিচালককে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ PM , আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫১ PM

চলতি মাসের শুরুর দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ (চলতি দায়িত্ব) পেয়েছিলেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক। তার নিয়োগের পর স্বৈরাচারের পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে আন্দোলন করেছিল শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি সংগঠন। অবশেষ তাকে সরিয়ে আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নতুন ডিজি দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামে একটি সংগঠন দাবি করেন, মাউশির ডিজি পদে আওয়ামী লীগপন্থি অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে পদায়ন করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাসচিব আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন শুরু করেছে। অবিলম্বে আওয়ামীপন্থী মাউশির মহাপরিচালকের পদত্যাগ করতে হবে। এ নিয়ে মাউশিতে তারা বেশ কয়েকবার বিক্ষোভও করেছিলেন।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, মাউশির ডিজি অধ্যাপক এহতেসাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার হাত ধরেই বরিশাল বিএম কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পান অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। আওয়ামী বলয়ের প্রভাবশালী অধ্যক্ষ হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিস্তর অভিযোগে ৫ আগস্টের পরে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করেন। শিক্ষাসচিবকে লিখিত অভিযোগও দেন। এরপর তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনুচর ও বিতর্কিত শিক্ষা ক্যাডারের এ কর্মকর্তা কীভাবে মাউশির ডিজির পদে আসীন হয়, তা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের কারো বোধগম্য নয়।