মাধ্যমিকে আবারও ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা, চূড়ান্ত নির্দেশনা দিল মাউশি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪২ PM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৮ PM
একবছর পর মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনায় আবারো চালু হচ্ছে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা)। আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন তুলে দেয়া হয়েছিল।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এই বিষয়টিসহ বেশ কিছু বিষয় বাদ দিয়ে আবারও মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণিতে বিভাগ চালু হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাউশি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, এনসিটিবি কর্তৃক প্রেরিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) পুনরায় চালুকরণ সংক্রান্ত পত্রানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ২ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে এক পরিপত্র দিয়ে বলা হয়েছিল, মাউশির এক পত্রের মাধ্যমে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থাকবে না মর্মে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রের জরুরি নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতথ্য) জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ এর ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বিভাজন অব্যাহত থাকবে।
“এ লক্ষ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে তারা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ধারার নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের অনুরূপ শাখা বিভাজন, শাখাভিত্তিক বিষয়, নম্বর বিভাজন, মানবণ্টন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ইত্যাদি প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে অবহিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তারপর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রম বাদ বা অনেক কিছু পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর বিভাগ বিভাজনের বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সরকারের অবস্থান জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১ সেপ্টেম্বর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।