সোমবারের মধ্যে শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির আল্টিমেটাম

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির অবস্থান কর্মসূচি
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির অবস্থান কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

আগামী সোমবারের মধ্যে শিক্ষা ভবনসহ শিক্ষা প্রশাসনে গত ‘স্বৈরাচার সরকারের’ রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির আল্টিমেটাম দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি। দাবি মানা না হলে শিক্ষাভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে শিক্ষাভবনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষাভবন থেকে বিগত স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দলদাস ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ, রাষ্ট্র সংস্কার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানান। এতে সভাপতিত্বে করেন সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ।

আরও পড়ুন : মাউশির ডিজি নেহাল আহমেদের পদত্যাগ

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, প্রাক্তন যুগ্ম-মহাসচিব প্রফেসর আবেদ নোমানী।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধর পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এক সঙ্গে সহকারী, সহযোগী এবং অধ্যাপক পদে টায়ার পদোন্নতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি। একই সঙ্গে অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় ৫ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রদান, শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি জানান তারা। তারা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চনা দূর করতে অবিলম্বে পদোন্নতিযোগ্য সবাইকে সকল টায়ারে (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে) এক সঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা এবং অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় ৫ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ঠ গ্রেড দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে অধ্যাপকদের ৫ম গ্রেড থেকে ৩য় গ্রেডে উন্নীতকরণের সুযোগ দাবি করেন। 

আরও পড়ুন : অফিস করছেন না মাউশি ডিজি

কামাল আহমেদ বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক- কর্মকর্তা ঘুরে-ফিরে মাউশি, ডিআইএ, ব্যানবেইস, নায়েম, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন দপ্তর এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলার প্রধান কলেজগুলোতে কর্মরত আছেন। অন্যদিকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নিরীহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা বছরে পর বছর প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওড়-দ্বীপ, পাহাড় এবং  জেলা- উপজেলার ছোট কলেজে কর্মরত আছেন। এই বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সুষ্ঠু বদলি পদায়ন নীতিমালা জারি করে তা বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানাই।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি প্রফেসর কাজী ফারুক আহম্মদ, প্রফেসর ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, আকলিমা আক্তার, মো. এনামুল হক, মো. আবদুল মান্নান, ড. সালাহ উদ্দিন আফসার, মো. গোলাম আজমসহ অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ