প্রাথমিক-মাধ্যমিকে ৯০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪০ AM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪০ AM
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে অন্তত এক লাখ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষকদের চাকরি থেকে অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এসব পদ শূন্য হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সরকারিতে শূন্য ৪ হাজার পদ। আর প্রাথমিকে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংস্থাটি পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণের চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে। এছাড়া শূন্য হওয়া কর্মচারীর পদগুলো সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, সরকারি স্কুল-কলেজে ৪ হাজারের মতো শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ে শূন্য রয়েছে হাজার ১ হাজার ৯৮৮ টি পদ। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ হয় বিসিএসের মাধ্যমে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে বেশ কিছু শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এছাড়া ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমেও অনেক শিক্ষক নিয়োগ হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদগুলো পূরণ করা যাবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়োগ হয়েছে ২৭ হাজার। ফলে ৪০ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্য পদগুলোর পাশাপাশি নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা যাবে।
প্রাথমিকে শূন্য ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো পূরণে শিগগিরই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী নভেম্বর মাসে প্রথম ধাপে বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগের পরীক্ষা হতে পারে। প্রথম ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। শিগগিরই এই জট দূর হবে। আমরা তিন ধাপে শূন্য পদ অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেব। এজন্য প্রস্তুতি চলছে।
প্রাথমিকের সচিব আরো বলেন, সারা দেশে একসঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কারণে বাড়তি কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজার শিক্ষক অবসরে যান। দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছি, যাতে বছরে দুটি নিয়োগ দিতে পারি। এই প্রক্রিয়ার ফলে শিগগিরই শিক্ষক সংকট কেটে যাবে।