‘গাজার কেক’সহ কাজী মোতাহার হোসেনের নাতি গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১, ১২:৪১ PM , আপডেট: ১০ জুন ২০২১, ১২:৪১ PM
দেশে এলএসডির পর ‘ব্রাউনি’ বা ‘গাজার কেক’ নামে নতুন ধরনের মাদকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। নতুন এ মাদকের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক কাজী মোতাহার হোসেনের নাতি কাজী রিসালাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার সাথে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা তিনজনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বুধবার (৯ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও পল্টন এলাকা থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রমনা (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে গাঁজার কেকের দেড় কেজি (৩০ পিস গাঁজার কেক) ওজনের একটি চালান জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন ‘ব্রাউনি’ নামে নতুন মাদকের সন্ধান, তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ধানমন্ডির অ্যাডভান্সড প্রফেশনালস-এর এসিসিএ’র ছাত্র ও প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক কাজী মোতাহার হোসেনের নাতি এবং কাজী রওনাক হোসেনের ছেলে কাজী রিসালাত হোসেন। আমেরিকান ইন্টরন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এ কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র কাফিল ওয়ারা রাফিদ। রাফিদের বাবা ইদ্রিস আলী সিঙ্গাপুরে ব্যবসা করেন। মোহাম্মদপুরে তাদের নিজেদের বাড়ি রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলার ছাত্র ও খিলখাঁও সিপাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সাইফ।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন রাজধানীতে একাধিক চক্র গাঁজার নির্যাস দিয়ে কেক বানিয়ে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তারা বুধবার বিকালে মোহাম্মদপুরের শাহাজাহান রোডের একটি জায়গা থেকে প্রথমে রাফিদ ও সাইফকে আটক করে। এসময় তাদের কাছে প্রায় ১৮টি গাঁজার কেক পাওয়া যায়। তারা সেগুলো ডেলিভারি দিতে যাচ্ছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পল্টন এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে রিসালাত হোসেনকে ১২পিস গাঁজার কেকসহ আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মিশু বিশ্বাস বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই মাদকাসক্ত। এদের দুজন নিজ নিজ বাসায় গাঁজার নির্যাস দিয়ে কেক তৈরি করে বিক্রি করতো। একজন এসব কেক ডেলিভারি করতো। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।