চসিক নির্বাচনে সহিংসতায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমেদের সঙ্গে নিজাম উদ্দিন
চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমেদের সঙ্গে নিজাম উদ্দিন  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনের (চসিক) ভোটের দিন সকালে সহিংসতা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এতে একজনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও একজনের মৃত্যু ঘটলেও পুলিশ দাবি করেছে, এটা পারিবারিক কারণে, ভোটের সাথে সম্পর্ক নেই।

এরমধ্যে সকাল ১০টার দিকে খুলশি থানার আমবাগান এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ভোটগ্রহণের সময় সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লালখান বাজার, খুলশি ও পাহাড়তলীতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। শত শত পুলিশ সদস্য সংঘর্ষ থামাতে মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অতিরিক্ত আট হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে পাহাড়তলীতে সকালে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে ভোটের কোন সম্পর্ক নেই। এটা নিতান্তই পারিবারিক কলহের জের।

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, পাহাড়তলীর ওই ঘটনায় এক ভাই আরেক ভাইকে হত্যা করেছে। দুই ভাই দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সেলর প্রার্থীর সমর্থক। সমর্থন নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়েই এক ভাই আরেক ভাইকে ছুরিকাঘাত করে। চট্টগ্রামের পশ্চিম বিভাগের এডিসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘নির্বাচন চলতে থাকায় এ হত্যাকাণ্ডটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে অনেকে। সেজন্য এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

নির্বাচনের আগে সাতশো’র বেশি ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। ভোটগ্রহণ চলাকালে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। এ নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ৩৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৪ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।