৬ জন মিলে ধর্ষণ, সহযোগিতায় ২
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:১১ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:১১ PM
সিলেটের মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে সাইফুর রহমানসহ ৬ জন। আর এতে সহযোগিতা করেন আরও দুজন। এ গণধর্ষণের মামলায় বৃহস্পতিবার দেয়া চার্জশিটে এ কথা জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
এদিন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। চার্জশিটে ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের গণধর্ষণকাণ্ডে আটজনের মধ্যে ছয়জন সরাসরি জড়িত। বাকি দুজন তাদের সহযোগিতা করেছে। তারা সবাইকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
চার্জশিট অনুযায়ী এ ঘটনায় সরাসরি জড়িতরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবা উল ইসলাম রাজন মিয়া। আর রবিউল হাসান ওরফে ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এ ঘটনার ডিএনএ প্রতিবেদন আদালতের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসে পৌঁছে। ডিএনএ প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনায় সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্করের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর এই আট আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে।