আত্মহত্যা করেছেন মডেল রাউধা: পিবিআই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৯, ০১:২৩ AM , আপডেট: ৩০ মে ২০১৯, ০১:২৩ AM
বহুল আলোচিত রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেলকন্যা রাওধা আতিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে পিবিআইও তাদের প্রতিবেদনে বলেছে। বুধবার রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী পিবিআইয়ের এসআই সাইদুর রহমান মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এর আগে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ এবং সিআইডিও তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যার কথা বলেছিল।
এসআই সাইদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ অগাস্ট রাওধার মৃত্যুর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদলাত। এরপর তদন্ত শুরু করে পিবিআই। মামলার দীর্ঘ তদন্তে মডেল কন্যা রাওধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলেছে। তার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার কোনো আলামত মেলেনি।
তদন্ত কর্মকর্তা সাইদুর বলেন, প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন রাওধা। মোবাইল ফোনে তার শেষ গৃহীত কল ছিল তার বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিল ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকল না।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে রাওধা আতিফের ভিসেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায় মালদ্বীপ দূতাবাস। এরপর মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব কাগজপত্র মালদ্বীপ পাঠানো হয়।
পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাওধা যে আত্মহত্যাই করেছিল সেটা পিবিআইয়ের তদন্তেও পাওয়া গেছে। তারা রাওধার আত্মহত্যার তদন্তকাজ শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
পুলিশ ও সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম শেষে পঞ্চমবারের মতো রাওধার মুত্যুর তদন্ত করে পিবিআই।
রাওধা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেল থেকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর ঘটনায় শাহ মখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে। দুইবার ময়নাতদন্ত করার হয় রাওধার লাশ। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই এই আত্মহত্যার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাওধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।