উপাচার্যসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ কুবি শিক্ষক সমিতির

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে শিক্ষক সমিতি। এতে উপাচার্যের নেতৃত্বে কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও চাকরি প্রার্থী সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগপত্রে বলা হয়, রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আহুত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান করছিলেন শিক্ষকরা। এ সময় তাদের ওপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকির নেতৃত্বে হামলা হয়।

তাদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন। পরে কয়েকদফা হামলায় ২০ জন শিক্ষক আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সময় পুনরায় তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি ও কিছু শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।

আরো পড়ুন: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়: অভিযোগ এবার ট্রেজারারের বিরুদ্ধে

এভাবে হামলা ও হুমকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর সৌহার্দ্য বিনিময়ের জন্য উপাচার্য কার্যালয়ে দেখা করার জন্য উপস্থিত হন। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি, কিছু কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অছাত্ররা উপস্থিত শিক্ষকদের ওপর দফায় দফায় হামলা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি থানায় জিডি করেছে। 

এ বিষয়ে পরবর্তীতে উপাচার্য বরাবর শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ অবস্থা বিবেচনা করে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তার অভিযোগপত্রটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে শিক্ষক সমিতি।

এর আগে রোববার হামলার ঘটনার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেছিলেন, এখানে আমাদের কোন দোষ নেই। তাঁদের দাবিগুলো অযৌক্তিক। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করছে। আমি তাঁদের সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ