ঢাকার নামকরা কলেজের শিক্ষার্থী এখন ছিনতাইকারী

  © সংগৃহীত

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন শাহারিয়ার হাসান। এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়ে ভর্তি হন রাজধানীর একটি নামকরা কলেজে। সেই শাহারিয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে এখন ছিনতাইকারী। ছিনতাই কেরতে গিয়ে শুক্রবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ নিয়ে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।  

গত শুক্রবার রাতে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় তিন বন্ধুকে নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে ছিনতাইয়ে বের হন শাহারিয়ার। রিকশা আরোহী এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। পালিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা। পুলিশ বলছে, রাত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মিরপুর এলাকায় ছিনতাই করেন।  

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত শুক্রবার শাহারিয়ার ও তাঁর বন্ধুরা যে নারীর ব্যাগ ছিনতাই করেন, তাঁর নাম সাবিনা ইয়াসমিন। ওই ঘটনায় তিনি মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় শাহারিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তাঁর পলাতক তিন বন্ধু হলেন তৌহিদুল হাসান, মানিক ও শাওন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শাহারিয়ারের বাবা বিদেশে থাকেন। মিরপুরে তাঁদের একটি বাড়ি রয়েছে। পড়ালেখায় মেধাবী ছিলেন তিনি। এক সময় ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে মিশতেনও না। পরে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নেশায় আসক্ত হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বাবা তাঁকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। সেই মোটরসাইকেল দিয়েই বন্ধুদের সঙ্গে ছিনতাই করেন তিনি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহারিয়ার পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ও মানিকের বাসা পাশাপাশি। মানিকের মাধ্যমে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মানিক অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পর আর পড়াশোনা করেননি। তিনিই শাহারিয়ারকে অপরাধ জগতে নিয়ে এসেছেন।

পুলিশের তথ্যমতে, রাজধানীতে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৭ জন ছিনতাই এবং ৪ হাজার ৪৬১ জন ডাকাতিতে জড়িত। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে এসব অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তান্ত রয়েছে। এতে রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতিতে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ