চকলেটের লোভ দেখিয়ে স্কুলে শিক্ষার্থী ধর্ষণ, দপ্তরি আটক

আটক হওয়া দিদার মিয়া
আটক হওয়া দিদার মিয়া  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী দিদার মিয়াকে আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। দিদার উপজেলার নিজকান্দি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের এক শিক্ষার্থী সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্কুলে যায়। দপ্তরি দিদার তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের পুরোনো ওয়াশব্লকের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে বিষয়টি কাউকে না বলতে ছাত্রীটিকে ভয় দেখায়। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে চলে যায়। 

আরও পড়ুন: বিভাগে ‘নারী শিক্ষক নিয়োগ’ হয় না শুনে স্বপ্ন ভেঙে যায়

বাড়িতে যাবার রক্তক্ষরণ শুরু হলে তার মা দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে মাকে সে বিষয়টি বলে। ছাত্রীটিকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। ছাত্রীর মা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রীর বাড়ির লোকজন তাদের বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ দিদারকে থানায় নিয়ে গেছে। একজন শিক্ষার্থী স্কুলে যৌন হয়রানির শিকার হবে, এটা খুবই দুঃখজনক।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, এ ঘটনায় দপ্তরিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নূরে আলম জানান, দিদারকে আটক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর মা মামলা করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ