৩ পুলিশকে কোপানোর ঘটনায় পাঁচ তারকা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার ১০
নারায়ণগঞ্জের আড়াইজাহারে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে ১০ জনকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলেও জানিয়েছে র্যাব।
গত রোববার (২৯ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখীতে হরতালের সমর্থনে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তিনজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।
ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয় বলে জানা যায়। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাদের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, কালাপাহাড়িয়া উনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মুছা, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলম, বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির মুজিবর, খাজা মাঈনুদ্দিনসহ অর্ধশত নেতাকর্মী।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, সকালে পাঁচরুখীতে বিএনপির হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং প্রতি উত্তরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সে স্থান ত্যাগ করে পরে বান্টি ও পুরিন্দা এলাকায় চলে গিয়ে সেখানে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে নেতাকর্মীরা চলে গেলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব পাঁচরুখীতে বিএনপি নেতা আজাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও মহিলাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন আজাদ।
আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, বিএনপি নেতারা সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা শুরু করলে আমরা বাধা দেই। পরে তারা আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়।