কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে পাপিয়াকে

শামীমা নূর পাপিয়া
শামীমা নূর পাপিয়া  © ফাইল ফটো

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি রুনা লায়লাকে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃত মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এখানে তিনি ঝাড়ুদারের কাজ করবেন।

সোমবার বিকাল ৫টায় গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে একটি প্রিজনভ্যানে করে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে উদ্দেশে পাঠানো হয়। সেখানে পাপিয়াকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

কারাসূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কারাগারে আনার পরই পাপিয়াকে নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। কারাগারে দুটি নারী ওয়ার্ড। ছোটটিতে গর্ভবতী ও সন্তানসহ বন্দিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় অন্যদের। সেখানে ২০-৫০ জন বন্দি থাকতে পারেন। এই ওয়ার্ডেই পাপিয়া রাত পার করেছেন। অন্য কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রাখা হয়েছে। অন্য সবার মতো তার খাবার, ঘুমানোসহ সব ব্যবস্থা ছিল একই নিয়মে।

ওই সূত্র আরও জানায়, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি কাজই রয়েছে। ঝাড়ু দেওয়া এবং নকশিকাঁথা সেলাই। প্রাথমিকভাবে নকশিকাঁথার কাজ সব কয়েদি পারে না। তাই শুরুতে ঝাড়ুদারের কাজই করতে হয়। সে অনুযায়ী পাপিয়াকে ঝাড়ুদারের কাজই করতে হবে।

কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লা আল মামুন জানান, যেহেতু তার আচরণে সমস্যা ছিল, বন্দিদের মারধর করতো, তাই এখানে যেন ওই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য পাপিয়ার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। গাজীপুরে যেমন তাকে রাইটার হিসেবে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কুমিল্লায় তাকে কোনো বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

প্রায় ৪০ মাস ধরে শামীমা নুর পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী তাঁকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করেন পাপিয়া। তাঁর কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেন।

এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে সালিস বৈঠক বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে রুনার ছোট ভাই গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ