ছাত্রের মারধরে দুই শিক্ষক হাসপাতালে
- টিডিস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২৬ AM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২৬ AM
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের দুজন শিক্ষক হামলার শিকার হয়েছেন। ক্লাস চলাকালীন সময়ে অসদাচরণের জন্য শাসন করায় ছাত্রের হাতে থাকা কাঠের লাঠির বাড়িতে শিক্ষকদের হাত ও পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হয়েছে। স্থানীয় টেকেরঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট সংলগ্ন লাকমা বাজারের নিকটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক মখলিছুর রহমান ও স্কুল শাখার বাংলা বিভাগের শিক্ষক মর্তুজা আলী। হামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্র স্থানীয় পটিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আল-ইদ্রিস। এ সময় তার (আল-ইদ্রিসের) সঙ্গে আরো কয়েকজন সঙ্গী ছিল। টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. খায়রুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বাংলা বিষয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে আল-ইদ্রিসের অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে একটি চড় মারেন শিক্ষক মখলিছুর রহমান। পরে এ ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষকরা মীমাংসা করে দেন। তবুও এ ঘটনার জেরে বুধবার রাতে স্থানীয় লাকমা বাজার থেকে কেনাকাটা করে নিজ বাসায় টেকেরঘাটে পায়ে হেঁটে ফেরার পথে আল-ইদ্রিস কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে মখলিছুর রহমানের ওপর হামলা করে। এ সময় আল-ইদ্রিসের হাতে থাকা কাঠের লাঠির একাধিক আঘাতে মখলিছুর রহমান আহত হন। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকর্মী মর্তুজা আলী ছাত্রকে থামাতে গেলেও তিনিও হামলার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১১১ দেশের কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বাংলাদেশের তাকরীম
আহত শিক্ষক মখলিছুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ক্লাসের এ ঘটনার পর বিষয়টি সিনিয়র স্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন এবং বিকালে তাদের নিয়ে ফুটবল খেলাও হয়েছে। ওই খেলায় সেও অংশগ্রহণ করে। তবুও এ ঘটনার জেরে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দুজনেরই হাতে-পা ও শরীর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এমন একটি ঘটনা আমাদের ধারণারও বাইরে ছিল।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. খায়রুল আলম বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।