বইমেলায় নতুন বই ৩ হাজার ৪১৬টি, বিক্রি ৫২ কোটি টাকা

বইমেলায় নতুন বই ৩ হাজার ৪১৬টি, বিক্রি ৫২ কোটি টাকা
বইমেলায় নতুন বই ৩ হাজার ৪১৬টি, বিক্রি ৫২ কোটি টাকা  © সংগৃহীত

করোনা মহামারীর কারণে দেরিতে শুরু হলেও ৩১ দিন পেরিয়ে পর্দা নামল একুশের বইমেলার। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) মেলার শেষ দিনে আয়োজক বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হল, এবার কমপক্ষে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।

সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠানে বইমেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ তার প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেন। ২০২১ সালে মহামারীতে টালমাটাল অবস্থায় বইমেলায় সর্বমোট বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার বই। তবে ২০২০ সালে এই অঙ্ক ছিল ৮২ কোটি টাকা।

জালাল আহমেদ বলেন, এবার বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। মেলায় সর্বমোট বই বিক্রি হয়েছে কমপক্ষে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি মেলার শেষ দিকে এসে একটা জরিপ পরিচালনা করে থাকে। সেই জরিপের ভিত্তিতে সর্বমোট বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়। এই সংখ্যাটা নিশ্চিত না হলেও মোটামুটি একটি অঙ্ক আমরা দাঁড় করাতে পারি। তবে বিক্রির অঙ্কটা এর চেয়ে কম নয়, বেশিই হবে।

নতুন বইয়ের তথ্য তুলে ধরে জালাল বলেন, বইমেলায় এবার ৩ হাজার ৪১৬টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৯০৯টি বাংলা একাডেমির বিবেচনায় ‘মানসম্মত’।

আরও পড়ুন: পর্দা নামল অমর একুশে গ্রন্থমেলার

তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছর বাংলা একাডেমি থেকে একটি কমিটির মাধ্যমে কতটি বই মানসম্মত হয়, সেটি নির্ধারণ করে থাকি। ২০২০ সালে ৪ হাজার ৯১৯টি বই প্রকাশিত হয়েছিল। ওই বছর মানসম্মত বই ছিল ৭৫১টি, শতকরা ১৫ শতাংশ ছিল মানসম্মত। এবার মোট প্রকাশিত বইয়ের ২৬ শতাংশ মানসম্মত।

বরাবর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন একুশের বইমেলা শুরু হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি থাকায় তা পিছিয়ে যায়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বইমেলার ৩৮তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তখন সিদ্ধান্ত ছিল, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবারের মেলা। পরে সংক্রমণের হার কমে আসায় ১৭ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, অমর একুশে বইমেলার প্রায় চার দশকের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী বইমেলা। করোনায় গত বছর বইমেলায় প্রকাশকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নানা আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারের বইমেলার সফল সমাপ্তি হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ