প্রশ্ন আছে উত্তর নেই তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে

তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই
তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই  © টিডিসি সম্পাদিত

বিশ্ব শিশু দিবস কত তারিখে পালন করা হয়? এমন প্রশ্ন রয়েছে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে। বইটির অষ্টম অধ্যায়ের অনুশীলনীতে এমন প্রশ্ন থাকলেও এ সংক্রান্ত কোনো উত্তর নেই শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা অধ্যায়ে। বইটি ঘেটে দেখা গেছে, অষ্টম অধ্যায়ে শিশু অধিকার, শিশু অধিকার অর্জনে ব্যক্তি ও সংস্থা এবং এসো নিরাপদে পথ চলি নামের তিনটি সাব অধ্যায় থাকলেও শিশু দিবস সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন এনসিটিবির বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পাঠ্যবই মুদ্রণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি, অভিভাবক  ও শিক্ষকরা। অষ্টম অধ্যায়ের অনুশীলনে বাকি চারটি প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, ‘শিশু অধিকার অর্জনে সাহায্য করে এমন দুইটি প্রতিষ্ঠানের নাম লিখি, বিদ্যালয়ে পূরণ হয় এমন দুইটি অধিকার লিখি, রাস্তায় জেব্রাক্রসিং ও ফুট ওভার ব্রিজ না থাকলে কীভাবে রাস্তা পার হব ?, সড়ক দুর্ঘটনার দুইটি কারণ লিখি।’

আরো পড়ুন: হ য ব র ল এনসিটিবির বই পরিমার্জন, দায় নেবে কে?

বিভিন্ন সচেতন অভিভাবক ও পাঠ্যবই সংশ্লিষ্টরা জানান, এমন ভুলে বিভ্রান্ত হবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টিকে এনসিটিবির কাজের গাফলতি হিসেবেই দেখছেন তারা। একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইটির তেমন কোনো পরিমার্জন করা হয়নি। সম্পূর্ণটা আগের বই। ২০২৫ সালের বইয়ে শুধু অধ্যায় শেষে নতুন করে অনুশীলন যুক্ত করা হয়েছে। তবুও এমন ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক।

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের অষ্টম অধ্যায়

এনসিটিবির প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বিভাগের সদস্য প্রফসের এ. এফ. এম সারোয়ার জাহান বলেন, এসব বইয়ের পরিমার্জনের পর প্রিন্টে যাওয়ার পূর্বে আমি বার বার দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাজ্জাদুর রহমান (রাখাল রাহা) সবাইকে নিষেধ করেছিলেন আমাকে যেন কেউ কোনো বইয়ের কপি না দেন। পরিমার্জন কাজের সাথে জড়িত গাজী নাজমুল হোসেনের কাছেও একাধিকবার বইয়ের কপি চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমাকে বইয়ের কপি দেয়নি। ফলে কোন বইয়ে কী পরিবর্তন হয়েছে কিংবা কোথায় ভুল রয়েছে সেটা আমার জানা নেই। 

প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বিভাগের সদস্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গবেষণা কর্মকর্তা গাজী নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটার বিষয়ে (সাজ্জাদুর রহমান) রাখাল রাহা ভালো জানবেন। তিনি যেভাবে বলেছেন আমার সেভাবেই কাজ করেছি। এরচেয়ে বেশি জানতে হলে আপনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে পারেন।

আরো পড়ুন: ‘দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ’— পাঠ্যবই থেকে শিখবে শিক্ষার্থীরা

এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, আমি বিষয়টি জানি না। এমনটি কীভাবে হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। যারা এনসিটিবির বই পরিমার্জনের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন তারা ভালো জানবেন। শিক্ষা উপদেষ্টা কর্তৃক যারা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও বলতে পারবেন। রাখাল রাহা কাকে কাজে যুক্ত হতে দেয়নি সেটা তার কাছেই জানতে চাওয়া উচিত। আমি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।

তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে এনসিটিবির বাংলার বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদুর রহমানের (রাখাল রাহা) মতামত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে কল কেটে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ