নতুন কারিকুলাম শিক্ষক-অভিভাবকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন: চরমোনাই পীর

সেমিনারে আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
সেমিনারে আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম  © সংগৃহীত

নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে মুসলমান সন্তানদেরকে ইসলামী শিক্ষা ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, জাতিসত্তাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক-অভিভাবকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনার থেকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১ বাতিলের দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ২৫ জানুয়ারি জেলা-মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন রেজাউল।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চরমোনাই আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

রেজাউল করীম বলেন, এই সেমিনার ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী সংসদ সদস্যরা মুসলমান। নির্বাচনের পূর্বে তিনি দাবি করেছিলেন ক্ষমতায় আসলে ইসলামবিরোধী কিছু করবেন না। তাদের কর্মকাণ্ডে দেখা যায় তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের মুসলিম কালচার ও নিয়ম মানতে হবে। বর্তমান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগণ নেই। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা না থাকলে আমরা জান দিয়ে তা প্রতিরোধ করবো। এই শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গঠন করা তো দূরের কথা, পরিবারব্যবস্থা ধ্বংস হবে। এতে শান্তি আসবে না। এই শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানেন না ও প্রত্যাখ্যান করলাম। আমাদেরকে পরগাছা করার আয়োজন চলছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান কারিকুলাম দেখে মনে হয় তারা মানুষকে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বানাতে চায়। সমকামিতা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কি এ দেশের মানুষকে ধর্মান্তরিত করার ঠিকাদারি নিয়েছেন? নাকি আপনার কোন লোক এই ঠিকাদারি নিয়েছে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ইসলামী জনতার একটি বিপরীত শক্তি ক্ষমতায় আছে। এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মুসলিম যে দুরবস্থায় আছে তা পাঠ্যপুস্তক দেখে বোঝা যায়।


সর্বশেষ সংবাদ