ইসলাম শিক্ষার কিছু বইয়ে হিন্দু শিক্ষার মলাট, ‘ছাপাখানার ভুল’ বলছে এনসিটিবি

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এবং 	হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বই
তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এবং হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বই  © প্রচ্ছদ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার কিছু বই ছাপায় ভুল পাওয়ার পরপরই তা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, ভুলটা ছাপাখানার। আর সেটা হচ্ছে, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বইয়ের উল্টো পাশে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের মলাট রয়ে গেছে। এটা জানার পরপরই বইগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি উৎসব করে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। তবে তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কিছু বইয়ের মলাটের নিচের অংশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবী দুর্গার ছবি রয়েছে। এটি হিন্দু ধর্ম শিক্ষার বইয়ের মলাট। দ্রুত বইটির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই তৃতীয় শ্রেণির বইটি তুলে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এনসিটিবি।

আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে হিজড়া: ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পে তুলকালাম

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এটা ছাপাখানার ভুল। সেটা জানার পরপরই আমরা বই তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। শুনেছি ৪০টি বইয়ে এমন ভুল হয়েছে। সাতক্ষীরার একটি স্কুলে এমন ভুল ছাপা বই পাওয়া গেছে। নতুন করে বই ছাপিয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের বইটি দেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির এমন বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঠাকুরগাঁওয়ের আমানউল্লাহ আমান নামে একজন অভিভাবক ভুলে ছাপা বইটির ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে দ্রুত সংশোধনী দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

No photo description available.

ইসলাম শিক্ষার কিছু বইয়ের মলাটের নিচের অংশে দেবী দুর্গার ছবি রয়েছে

পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তৃতীয় শ্রেণির বইটিতে এমন ভুল দেখে খোঁজ নিলাম। দেখলাম আমাদের আশপাশের দুটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ে একই ভুল। অন্য এলাকার খবর আমি জানি না।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫-১০টি স্কুলে এ ধরনের ভুল বই পাওয়ার খবর জেনেছি। এর পরপরই আমরা সেগুলো নিয়ে এসেছি।


সর্বশেষ সংবাদ