পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিড়ি খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিককে প্রক্টর বললেন এতো রাতে ফোন কেন?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০১ AM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৩ AM
ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। এসময় হলের কয়েকটি রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিককে পবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, এতো রাতে ফোন কেন? সকালে ‘ফোন’ দেওয়া যেত না বলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান তারেকের সামনে এসে ধূমপান করেন শামীম নামের এক জুনিয়র। এসময় তারেকের এক অনুসারী এসে ধূমপান করার অপরাধে শামীমকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর শামীমের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীদের সঙ্গে মেহেদি হাসান তারেকের অনুসারীরা বাকবিতাণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। শামীম ও তার সহপাঠীরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরের অনুসারী।
এদিকে ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, শেরে বাংলা হলে শাখা দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি রুম। দফায় দফায় এই সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই হলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রাত সাড়ে ১২টার পর পবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সঙ্গে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এসময় তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তো কি হয়েছে? সাংবাদিকদের এতো রাতে ফোন কেন? সকালে ‘ফোন’ দেওয়া যেত না বলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন। এরপর ড. সন্তোষ কুমার বসু ফোন কেটে দেন।
পরবর্তীতে পবিপ্রবি প্রক্টরের সঙ্গে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে আবারও মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এসময় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের এই প্রতিবেদক বলেন, রাতে প্রক্টরকে ফোন দেওয়া যাবে না, সেটা কোন আইনে আছে কিনা? তখন প্রক্টর সেই প্রশ্নের জবান না দিয়ে বলেন, আপনি সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।