কৃষি গুচ্ছের ফলাফলে অসন্তোষ ভর্তিচ্ছুদের, শেকৃবিতে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৪ AM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০২ AM
কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ক ডিগ্রি প্রদানকারী আট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার)। তালিকায় স্থান না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে এ ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
গত বুধবার রাতে ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এরপর সংগঠিত হয়ে তারা রবিবার শেকৃবি উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকালিপি নিয়ে যান।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল কিভাবে হিসাব করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোলাসা করেনি ভর্তি কমিটি। স্মারকলিপিতে যোগ্য মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া ও ফলাফল যাচাইকরণে তারা চারটি দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো- পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে; পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে, পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয়ে কোন ত্রুটি আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে হবে; বর্তমানে চলমান ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হবে কিংবা সময় বাড়িয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
এ বিষয় নিয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেরিট লিস্টে ও ওয়েটিং লিস্টে আসতে পারেনি তাদের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আমরা কিন্তু জিপিএ-এর ভিত্তিতে মার্কস দেইনি, আমরা এটা নির্দেশিকাতে বলে দিয়েছি। শিক্ষাবোর্ড আমাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের যে নম্বর সরবরাহ করেছে সেটাকেই আমরা ২৫ এবং ২৫ এ কনভার্ট করেছি।’
তিনি বলেন, বোর্ডেও কোনো পরীক্ষায় ১২০০ নম্বরের মধ্যে কেউ কিন্তু ১২০০ পায়নি, ফলে ২৫ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এইচএসসি এবং এসএসসি উভয় ক্ষেত্রেই এটি সমান। আর আমরা এর সঙ্গে আমাদের পরীক্ষার যে রেজাল্ট সেটি যুক্ত করেছি, কারও যদি তুলনামূলক বেশি নম্বার থাকে সে এখানে বেশি নম্বর পাবে এবং পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও চান্স পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটি বুঝতে হবে সবাইকে। আমরা যে এই বিষয়ে এটেনশন দিচ্ছি না এটা মোটেও ঠিক না। এটেনশন দিচ্ছি বলেই পুনঃনিরীক্ষনের সুযোগ দিচ্ছি।
রোববার স্মারকলিপি দেওয়ার পর শেকৃবি রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত ফলাফল নিরীক্ষণ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে ঘোষণা করা হয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল নিরীক্ষা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ২০৪ নম্বর কক্ষে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপি এবং নিরীক্ষা ফি বাবদ ১০০০ (এক হাজার) টাকা জমা দিয়ে হবে।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও শেকৃবি রেজিস্ট্রার বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করা যাবে। ফলাফল নিরীক্ষণের শেষ তারিখ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আবেদনকারীদের এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।