মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ৮০ জনের সনদে ত্রুটি পেয়েছে অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৯ AM , আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ PM

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে প্রায় ৮০ জনের সনদে ত্রুটি পেয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেলেও এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কতজনের সনদে ত্রুটি পাওয়া গেছে সেটি এখন প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। ৪৯ জন মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেননি। তাদের আগামী রোববারের মধ্যে অধিদপ্তরে এসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। রবিবার তালিকা চূড়ান্ত করার পর এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া যাবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুদের জমা পড়া সনদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই ত্রুটপূর্ণ। এ কোটায় সরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সনদ জমা দিয়েছেন তাদের প্রায় ৮০ জনের সনদে ত্রুটি রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ৪৯ শিক্ষার্থী প্রমাণ দেখাতে আসেননি
নাম প্রকাশিত রাখার শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গত ২৭ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অধিকাংশই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অন্যদিকে ২৯ জানুয়ারি অর্থাৎ শেষদিনে আগতদের অধিকাংশই মুক্তিযোদ্ধার নাতি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময় অনেকের বাবার বয়স ১২ বছর ছিল। বিষয়গুলো আমরা ফাইনালাইজ করছি। এগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত করা হবে।’
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন রয়েছে ২৬৯টি। এর মধ্যে ১৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন। যাদের অধিকাংশেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪০-৪৬। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও মাহিন সরকার। ক্ষোভ জানাতে থাকেন শিক্ষার্থীরাও। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সারাদেশে একযোগে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬১ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পরীক্ষায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ২২ হাজার ১৫৯ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।