মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা চূড়ান্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৩১ PM , আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৭ PM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এই নীতিমালা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এটিতেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
নীতিমালা প্রণয়নকারী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামাী ১ এপ্রিল এমবিবিএস ও ২২ এপ্রিল বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগের মতোই সম্পূর্ণ সিলেবাসের আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: যে সিলেবাসে হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ সিলেবাসের আলোকেই হবে। নীতিমালায় এটিই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে যথা সময়েই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে দেশে লকডাউন দেয়া হলে কিংবা পরিস্থিতির অবনতি হলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সম্পূর্ণ সিলেবাসের আলোকেই এবার মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা হবে। আগামী ১ এপ্রিল এমবিবিএস ও ২২ এপ্রিল বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে পেছানো হবে। তবে আশা করছি এপ্রিলের আগেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার একদিন পর ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ৪৮ হাজার ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন।