মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য লাইনে ভর্তিচ্ছুরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য লাইনে ভর্তিচ্ছুরা  © ফাইল ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভর্তিচ্ছু। ভোগান্তি কমাতে তারা মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পদ্ধতি গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে মতামত জানতে চাওয়া হলে তারা এমন কথা বলেছেন।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ের জন্য আবেদন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে। প্রতিটির আবেদন ফি ৫০০ টাকা। গত জুলাইয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর আগস্টে শেষ হয়। এরপর এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে। ফেসবুক পেজে প্রশ্ন ছিল, ‘২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আপনার মতামত কী?’

এর জবাবে শেখ জে হোসেনের মতে, ‘গুচ্ছ মেডিকেলের মতো মেরিট এবং বিষয় পছন্দক্রম দেওয়ার সিস্টেম হলে আমাদের ভোগান্তি কমতো। অযথা টাকা খরচ করতে হতো না।’ মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর মত, ‘এক কথা এখানে একটি শিক্ষা বাণিজ্য হচ্ছে। ভর্তির ব্যবস্থাটা মেডিকেলের মত করা উচিত ছিল।’

হাসিবুল হাসানের মন্তব্য, ‘পরীক্ষার প্রশ্নের মান খুবই খারাপ ছিল। ২২টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা মাত্র এক ঘণ্টার হওয়া উচিৎ না। এক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছের মতো বড় পরীক্ষা নেয়া উচিৎ।’

কমরেড কুঞ্জ লিখেছেন, ‘দায়িত্বরত গুচ্ছ কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনেক ব্যর্থতা আছে। স্বচ্ছতার অনেক অভাব, কোনো কিছুই বিজ্ঞপ্তি দেবার পরও পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় না। শিক্ষার্থীরা এখনও মাইগ্রেশন সম্পর্কেই অবগত না, কিন্তু আবেদন করে যাচ্ছে। গুচ্ছ কমিটি বিজ্ঞপ্তিতেও এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে বলেনি, সেটা স্বীকারও করেছে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেই! বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে গুচ্ছের নিজের মেরুদন্ড শক্ত করা প্রয়োজন।'

জহিরুল ইসলাম বাবরের মত, ‘খারাপ না ভালোই আছে এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমে। সিস্টেমটা অনেক ভালো। তবে কিছু কিছু সিদ্ধান্তের ভুল আছে। যেগুলো পরিবর্তন করলে অনেক ভালো হবে।। আর সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া, দ্রুত ভর্তি শেষ করা, সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করে সাব্জেক্ট দেওয়া এগুলো সঠিক ভাবে করতে হবে।’

আরো পড়ুন: গুচ্ছে অসন্তোষ অধিকাংশ ভর্তিচ্ছুর, ভোগান্তি কমাতে নানা মত

তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার জন্য ভালোই। কারণ কোথাও দৌড়াদৌড়ি করতে হয়নি। এক জায়গা থেকেই পরীক্ষা দিতে পেরেছি। সব ভার্সিটিতে আলাদা আলাদা এক্সাম দিতে গেলে হয়ত ২-৩ টার বেশি দেয়াই হতো না। অসুবিধা হলো একটা মেরিট লিস্ট দেয়া উচিত ছিলো। এবং সব ভার্সিটি তে অ্যাপ্লাই এর নামের ব্যবসা হচ্ছে। আমরা কেউ তো আর দুইটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো না। তাও কমবেশি ৩-৪ টা বা তারো বেশি ভার্সিটি তে অ্যাপ্লাই করতে হয়েছে সবাইকে।’

জিওন হোসাইন লিখেছেন, ‘একদম ফালতু একটা সিস্টেম। জুনিয়রদের কাছে অনুরোধ রইল তারা যেন এই জিএসটি সিস্টেম এর মতো ফালতু সিস্টেমে না জড়ায়।’ ইবনে আদম লিখেছেন, ‘জানিনা এখানেও কারো স্বার্থ থাকতে পারে! নাহলে ছাত্র ছাত্রীদের মানষিক ভাবে হেনস্থা করার কারণ কি?’

শহিদুল ইসলামের ভাষ্য, ‘গুচ্ছ কমিটিকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বস্তির পরীক্ষা যেন অস্বস্তির কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ মাহমুদা আক্তারের কথায়, ‘গুচ্ছ ভালো। কিন্তু কিছু সিদ্ধান্ত ছেলে-মেয়েদের কষ্টের কারণ।’

স্বপন ইসলামের মত, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে- বেশ কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় পছন্দক্রম দিতে গিয়ে সবগুলো বিষয়ই পছন্দক্রমে দিতে হচ্ছে। তারমানে এটা কীভাবে পছন্দক্রম হয়? বিষয় পছন্দক্রম হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়গুলোতে পড়তে ইচ্ছুক শুধু সেগুলো দেবে আবেদনে। কিন্তু রীতিমতো এখানে তো জোরপূর্বক অপছন্দের বিষয়গুলোও দিতে হচ্ছে। এটা কোন ধরনের বিড়ম্বনা?’

ইমন হাসনাতের মন্তব্য, ‘ব্যবস্থাপনা অনেক খারাপ। যেমন, হঠাৎ করে এক্সাম একমাস এগিয়ে ফেলা। শর্ট সিলেবাসের কথা বলে ফুল সিলেবাসে এক্সাম নেয়া। তার ওপর ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ভোগান্তি আছেই।’

সর্বশেষ সংবাদ