চলতি মাসের মাঝামাঝিতে এইচএসসির ফল, চূড়ান্ত হয়নি দিনক্ষণ

এইচএসসির ফল পেয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
এইচএসসির ফল পেয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস  © ফাইল ফটো

চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ১৫, ১৬ বা ১৭ অক্টোবরের যেকোন একদিন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তবে, ফল প্রকাশের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না।

আরও পড়ুন : এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল!

১৫, ১৬ বা ১৭ অক্টোবরের যেকোন একদিন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি জানান, ১৫, ১৬ বা ১৭ অক্টোবরের যেকোন একদিন ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণের বিষয়ে এখনো আমরা জানি না।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকার পতনের দাবিতে হওয়া লাগাতার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৭টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন : ‘প্রাণ বাঁচাতেই’ এইচএসসি বাতিলের সিদ্ধান্ত!

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।

সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ে এক সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষাগুলো আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা প্রশাসন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  যেসব বিষয়ে এইচএসসি ও সমমানের প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ের পরীক্ষার ফল উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি সেসব বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে ১০০ শতাংশ ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রস্তুত করতে হবে।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ