সমাজে সম্প্রীতি রক্ষায় মিডিয়া লিটারেসির বিকল্প নেই: ড. সাবের

‘মিডিয়া লিটারেসি: গুজব প্রতিরোধ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই’ বিষয়ক কর্মশালা
‘মিডিয়া লিটারেসি: গুজব প্রতিরোধ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই’ বিষয়ক কর্মশালা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, সমাজে সম্প্রীতি রক্ষায় মিডিয়া লিটারেসির কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সকলেরই উচিৎ সামাজিক মাধ্যমে কোনো খবর পড়া এবং শেয়ার করার ক্ষেত্রে তথ্যের উৎসের বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।

মিডিয়া লিটারেসি বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজেদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার ব্যাপারে অবগত করে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তথ্যের ব্যবহার, বিচার-বিশ্লেষণ এবং এর অপব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্প্রতি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে রাইট টু পিস কর্তৃক আয়োজিত ‘মিডিয়া লিটারেসি: গুজব প্রতিরোধ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আরও পড়ুন: মুখরোচক লেখায় সাংবাদিকতা হয় না, ব্যবসা হতে পারে

কর্মশালাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় রাইট টু পিসের (R2P) “Building Peace and Social Cohesion through a Sensible Response towards COVID-19” প্রজেক্টের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় এটিএন বাংলার টক-শো উপস্থাপক সি. এম. আমিনুল মজলিশ, ‘মিডিয়ার পরিবর্তিত রূপ, ফেক নিউজের প্রকারভেদ, তা চেনার উপায়, ক্লিকবেইট সংবাদ এড়ানোর পন্থা এবং তথ্য যাচাই করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিকতা ও সাহিত্য একে অপরের পরিপূরক - নওশাদ জামিল

কর্মশালায় আলোচকরা বলেন, যেকোনো নিউজ বা ইনফরমেশন কনটেন্ট এ ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং পক্ষপাত থাকতে পারে। তাই যেকোনো তথ্য শেয়ার করার আগে ফ্যাক্ট চেকিং এবং প্রাপ্ত তথ্যকে ক্রসচেক করা প্রয়োজন।

সামাজিক সহিংসতামূলক নিউজ বা তথ্য শেয়ার দেয়া থেকে বিরত থাকা, মতামতের ভিন্নতাকে সম্মান করা এবং মিথ্যা নিউজ রিপোর্ট করার উপর জোরদার করা হয়। কর্মশালায় প্রোপাগান্ডা, গুজব এবং ফেইক নিউজ সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয়।

তাছাড়া সকল বয়সী এবং সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকেই মিডিয়া লিটারেসি সম্পর্কে জ্ঞান এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয় কর্মশালায়।

আরও পড়ুন: জাবিতে গল্পের ছলে সাংবাদিকতা শেখা

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে রাইট টু পিসের ভলেন্টিয়ারগণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন।


সর্বশেষ সংবাদ