সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব: মুক্তির পর রোজিনা ইসলাম

মুক্তির পূর্বৈ রোজিনা ইসলামের আত্মীয় স্বজন ও সাংবাদিকরা ফুল নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ফটকের বাইরে ভিড় করেছেন
মুক্তির পূর্বৈ রোজিনা ইসলামের আত্মীয় স্বজন ও সাংবাদিকরা ফুল নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ফটকের বাইরে ভিড় করেছেন  © টিডিসি ফটো

প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি আজ রবিবার বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মুক্তি পাওয়ার পর রোজিনা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব। সাংবাদিকসহ যারা পাশে ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’

অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা এক মামলায় তিনি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে আটক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সচিবালয় থেকে সরকারি নথি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে সারা দেশেই সাংবাদিকরা আন্দোলন করছিলেন।

পড়ুন: দুই শর্তে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন

এদিন সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লা পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। নিন্ম আদালতে জামিনের আদেশের পর পরই রোজিনা ইসলামের আত্মীয় স্বজন ও সাংবাদিকরা ফুল নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ফটকের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করে।

জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেয়। মুক্তির পর সেখান থেকে রোজিনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। রোজিনার স্বজনরা জানান, মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ রোজিনাকে চিকিৎসার দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। এ সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনদের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা বলে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ