চাঁদে মরিচা পড়ার কারণ অনুসন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা © সংগৃহীত
চাঁদের মেরু অঞ্চলে মরিচা শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। অক্সিজেনের সঙ্গে নিত্য ঘটে চলেছে লোহার বিক্রিয়া। কিন্ত চাঁদে নেই কোনো অক্সিজেন। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে জবাব পেলেন তারা।
চাঁদের মেরু অঞ্চলে পাওয়া গেছে হেমাটাইট, যা মূলত লৌহ অক্সাইডের একটি রূপ এবং সাধারণভাবে মরিচা নামে পরিচিত। লোহা জারিত হয়ে এ খনিজ তৈরি করে। কিন্ত জারণের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। চাঁদে অক্সিজেন থাকলেও তা গ্যাস আকারে নেই। তাই চাঁদের মাটিতে হেমাটাইট বিজ্ঞানীদের বেশ অবাক করেছে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দাবি, পৃথিবী থেকে অক্সিজেন ‘লিক’ করছে। তা চাঁদে পৌঁছে মরচে ধরাচ্ছে উপগ্রহটির মেরু অঞ্চলে।
চাঁদে সৌরবাতাসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন ঢোকে। হাইড্রোজেন যে পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তাকে ইলেকট্রন দান করে। আবার ইলেকট্রন হ্রাস জারণের প্রধান শর্ত। ফলে সব উপাদান চাঁদে প্রস্তুত থাকলেও সেখানে সাধারণ উপায়ে মরচে পড়া সম্ভব নয়। কারণ, হাইড্রোজেন সেই জারণে বাধা দেয়। তাই একা একা মরিচা পড়া অসম্ভব। এর জন্য পৃথিবীকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন : এনটিআরসিএ কার্যালয়ে ১৭ ও ১৮তম নিবন্ধনের আবেদনবঞ্চিতরা, হট্টগোল
বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরবাতাসের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র সূর্যের বিপরীত দিকে সরে যায়। পূর্ণিমার সময় স্থলজ অক্সিজেনের আয়নগুলি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায়। কিছু কিছু কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের টান ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় চাঁদ পর্যন্ত। এই সময় চাঁদ থাকে সূর্যের বিপরীত দিকে, পৃথিবীর ছায়ায়। ফলে সৌরবাতাসের মাধ্যমে হাইড্রোজেন চাঁদে ঢুকতে পারে না।
চাঁদে অন্তত পাঁচ দিন করে এই প্রক্রিয়া চলে। ফলে মরিচা তৈরি হচ্ছে চাঁদে। এর আগে ২০২০ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম চাঁদের মেরুতে হেমাটাইটের অস্তিত্ব খুঁজে পানবিজ্ঞানীরা।
সূত্র : আনন্দবাজার