প্রতীকি ছবি © সংগৃহীত
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন সংস্করণ ‘জিপিটি-৫’ চালু করেছে। এটি আগের সব মডেলের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, বুদ্ধিমান এবং নিরাপদ। এ মডেলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো ভুয়া তথ্য শনাক্তকরণের দক্ষতা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান নতুন এ মডেলটিকে চ্যাটজিপিটির নতুন যুগের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নতুন এ মডেলটি তিনটি সংস্করণে ব্যবহার করা যাবে। জিপিটি-৫, জিপিটি-৫ মিনি ও জিপিটি-৫ ন্যানো। ব্যবহারকারীরা জিপিটি-৫ ও মিনি সংস্করণ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে জিপিটি ৫ প্রো সংস্করণের জন্য মাসে ২০০ ডলার খরচ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, নতুন মডেলটি ওপেনএআইয়ের সব সেবায় একীভূত করা হয়েছে। ফলে যুক্তি বিশ্লেষণ, ছবি তৈরি, ওয়েব ব্রাউজ বা ভয়েস মোডসহ সব কাজেই মডেলটি কাজ করবে। জিপিটি ৫ মডেলের মাধ্যমে কোডিং ও লেখার সময় পিএইচডি স্তরের দক্ষতা দেখা যাবে। কোডিংয়ের ক্ষেত্রে জিপিটি ৫ আগের সব মডেলের চেয়ে অধিকতর উন্নত।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে জিপিটি-৫ আগের চেয়ে আরও বেশি সচেতন ও দক্ষ বলেও দাবি ওপেনএআইয়ের। এটি ব্যবহারকারীর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে উদ্বেগজনক কোনো বিষয় থাকলে তা চিহ্নিত করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারে। পাশাপাশি, জিপিটি-৫ ব্যবহারকারীর জ্ঞানের স্তর ও অবস্থান বুঝে আরও সঠিক ও প্রাসঙ্গিক উত্তর দেয়।
আগের জিপিটি সংস্করণগুলোয় ভুল তথ্য তৈরির (হ্যালুসিনেশন) প্রবণতা নিয়ে সমালোচনা ছিল। ওপেনএআই দাবি করছে, জিপিটি-৫ মডেলে এই সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। নতুন মডেলের ত্রুটির হার ‘ওথ্রি’ সংস্করণের তুলনায় ৬৫ শতাংশ এবং জিপিটি-৪ এর তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। পাঁচ হাজার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাইরের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরীক্ষা চালিয়ে এর নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কোনো বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানা না থাকলে অযৌক্তিক কোনো উত্তর দেবে না জিপিটি-৫।