রেডিট © সংগৃহীত
ধর্ষণ, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম নারীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে শ্রীশান্ত নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২১তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্রীশান্তর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনায় এসেছে এই রেডিট আসলে কী? এটি কীভাবে কাজ করে? বাংলাদেশে এর ব্যবহার বৈধ কিনা?
রেডিট কী
রেডিট হলো একটি অনলাইন কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম। ২০০৫ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন স্টিভ হাফম্যান ও অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। রেডিট ব্যবহারকারীরা সাবরেডিট হিসেবে বিভিন্ন গ্রুপে নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট, আলোচনা, ছবি, ভিডিও, লিংক ইত্যাদি প্রকাশ করতে পারেন। তবে এখানে আলাদাভাবেও নিজেদের পোস্ট শেয়ার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
ছবি, ভিডিও, লিংক শেয়ার করার সুযোগ থাকলেও রেডিট আসলে টেক্সটভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এর ব্যবহারকারীরা নাম প্রকাশ না করেই (ছদ্মনামে) ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে খোলামেলাভাবে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয়। ফেসবুকের মতোই এখানে পছন্দ ও অপছন্দের কথা জানানোর সুযোগ আছে। কোনো পোস্ট ভালো লাগলে ‘আপভোট’ এবং ভালো না লাগলে ‘ডাউনভোট’ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে রেডিট
২০১৯ সালে জুয়া ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে তৎকালীন সরকার অন্যন্য সাইটের সঙ্গে রেডিটও বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে পরবর্তীতে এটি আবারো সচল করা হয়। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় শীর্ষ ৫০টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে রেডিট নেই বলে জানিয়েছে সিমিলিয়ারওয়েব।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ বলেন, রেডিটের ব্যবহার বাংলাদেশে কম। একটা সময় এটা বন্ধও ছিল। ফলে বাংলাদেশে খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তবে অনেক দেশে এটি বেশ প্রচলিত মাধ্যম।