প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত
জুমার দিনকে অন্যান্য দিনের তুলনায় মুসলমানরা বেশিই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কেননা মুসলমানদের জন্য পবিত্র জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনটি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবেও পরিচিত।
জুমার দিন সম্পর্কে রাসূল (সা:) বলেন, মহান আল্লাহর কাছে জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৮৪)। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। জুমার দিন নামাজ শুরু হওয়ার আগে ও পরে কত রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হয় তা অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নিই জুমার নামাজের আগে পরে কত রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা:) জুমার নামাজের আগে সুন্নত নামাজ আদায় করতেন। ইবনে উমর (রাযি.) বলেন, নবী করিম (সা:) জুমার নামাজের আগে চার রাকাআত নামাজ পড়তেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৯৩৭)। অনেক আলেমের মতে, জুমার নামাজের আগে চার রাকাআত সুন্নত মোয়াক্কাদা নামাজ পড়া মুস্তাহাব। কেউ চাইলে দুই রাকাআত করেও পড়তে পারেন; তবে চার রাকাআত উত্তম ও অধিক ফজিলতময়।
ইমাম আবু হানিফার মতে, জুমার নামাজের আগে জোহর নামাজের মতো চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হয়। তবে, অন্যান্য কিছু ইমামদের মতে জুমার নামাজের আগে বিশেষ কোনো সুন্নত নামাজ নেই। জুমার নামাজের আগে অন্যান্য দিনের মতো মসজিদে প্রবেশের পর যে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয় সেটা পড়বেন। তবে, সুন্নত হিসেবে জোহরের আগে যে চার রাকাত নামাজ পড়তে হয় সেটাই এখানে সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং এটিই উত্তম।
এছাড়া জুমার নামাজের পরে সুন্নত রাসূলুল্লাহ (সা:) চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন। আবু হুরাইরা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি জুমার নামাজ পড়ে, তবে সে যেন এর পর চার রাকাত নামাজ পড়ে (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮৮১)।
সুতরাং জুমার আগে সুন্নতে মোয়াক্কাদা চার রাকাআত, জুমার পরে সুন্নতে মোয়াক্কাদা চার রাকাআত। এটি কখনো দুই দুই রাকাত করেও পড়া যায়। এর বাইরে আর কোনো সুন্নত নামাজ নেই। যদি কেউ নফল পড়তে চান তিনি পড়তে পারেন।