মেয়েদের মাথা ও চেহারার চুল ছোট করার ব্যাপারে যা বলছে ইসলাম

২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ AM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ AM
মাথার চুল

মাথার চুল © সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ নারী মাথার চুল ছোট করেন। কেউ কেউ কাঁধ পর্যন্ত ছোট করে চুল রাখতে পছন্দ করেন। এতে অনেকেই নিজেকে বেশি পরিপাটি ও আত্মবিশ্বাসী মনে করেন। এছাড়া চেহারার বিভিন্ন অংশের চুলও অনেকে ছেঁটে ফেলেন। আসলে নারীদের মাথা ও চেহারার চুল ছোট করার ব্যাপারে কি বলছে ইসলাম? এটি কি জায়েজ? চলুন জেনে নিই-

১. মাথার চুল ছোট করার বিধান
শাইখ ইবনে বায রাহিমাহুল্লাহু বলেন, ‘নারীর চুল ছোট করার ব্যাপারে তেমন কোনো আপত্তি নেই। তবে মাথা মুণ্ডন করা নিষিদ্ধ। তবে, অসুস্থতার কারণে মাখা মুণ্ডন করা যাবে। চুলের দৈর্ঘ্য ও আধিক্য থেকে কিছুটা কমিয়ে ফেলতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সেটা হতে হবে এমন উত্তম পন্থায় যাতে আপনি এবং আপনার স্বামী তুষ্ট থাকেন। আপনি তার সাথে চুল ছোট করার ব্যাপারে একমত হবেন। আর এক্ষেত্রে কোনো কাফের নারীর সাদৃশ্য গ্রহণ করা যাবে না। কেননা চুল লম্বা হলে ধোয়া ও আঁচড়ানোর মত কষ্টের কাজ করতে হয়। যদি চুলের পরিমাণ বেশি হয় এবং নারী চুলের কিয়দংশ দৈর্ঘ্য অথবা আধিক্যের কারণে ছোট করে তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। অথবা যদি চুল ছোট করলে সুন্দর হয় যেটা তিনি এবং তার স্বামী পছন্দ করেন, তাহলে তাতে কোনো নিষেধ আছে বলে আমাদের জানা নেই। 

সহিহ মুসলিমে আবু সালামাহ ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীরা তাদের চুল কাটতেন, এমনকি তা ‘ওয়াফরা’-র মত হয়ে যেত।’[হায়েয/৩২০] ওয়াফরা হচ্ছে চুলের এমন পরিমাণ যা কান অতিক্রম করে। ইমাম নববী বলেন, ‘উক্ত হাদিসে নারীদের চুল ছোট করার বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু চুল ছোট করার ক্ষেত্রে নারীরা যেন কাফের অথবা ফাসেক নারীদের অনুসরণ এড়িয়ে চলে।

২. চেহারার চুল অপসারণ
চেহারার চুল ছেঁটে ফেলার ব্যাপারে শাইখ মুহাম্মাদ আস-সালিহ ইবনে উছাইমীন বলেন, যে চুল অস্বাভাবিক অর্থাৎ এমন স্থানে গজায় যেখানে সাধারণত গজায় না। যেমন নারীর গোঁফ ওঠা কিংবা গালে চুল গজানো; সেই চুল অপসারণ করতে কোনো আপত্তি নেই। কারণ এটি অস্বাভাবিক। এটি নারীর চেহারাকে বিকৃত করে। 

চোখের ভ্রু ও মাথার চুল ছাড়া অন্যান্য চুল অপসারণ করা জায়েজ হবে। এ দুটি অপসারণ করা জায়েজ নেই। দুই ভ্রুয়ের কোনো কিছু কামিয়ে ফেলা বা অন্য কিছু করা বৈধ নয়। 

নারীর জন্য দুই ভ্রুয়ের চুল কিংবা এর কিয়দংশ অপসারণ করা হারাম; সেটি কামিয়ে ফেলা কিংবা ছোট করা কিংবা পুরোপুরি বা আংশিক দূর করে এমন কোনো পদার্থ ব্যবহার করা; যেভাবেই হোক না কেন। যারা এটি করেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। এক ধরনের নারীদের নামিছা বলা হয়। নামিছা এমন নারীকে বলা হয় যে তার ধারণায় সৌন্দর্যচর্চা হিসেবে ভ্রুয়ের চুল পুরোপুরি বা আংশিক অপসারণ করে ফেলেন। আর মুতানাম্মিসাহ হলেন ওই নারী যার ভ্রুর চুল অপসারণ করা হয়। এটি আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার অন্তর্ভুক্ত; আদম সন্তানকে দিয়ে যা করানোর ব্যাপারে শয়তান অঙ্গীকার করেছে।

সুতরাং মাথায় চুল ছোট করা গেলেও অসুস্থতা ছাড়া পুরোপুরি মুণ্ডন করা জায়েজ নেই এবং চোখের ভ্রু কোনোভাবেই ছাঁটা বা কাটা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

ঢাবির হলে বহিরাগত থাকলে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রাম জেলা যুবদল সভাপতির মৃত্যু
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
রাতে এভারকেয়ারে তারেক রহমানসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠরা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
আ.লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন দাখিলকালে কর্মী গ্রেপ্তার
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ঝালকাঠি–২ আসনে মনোনয়ন দাখিলের সময় দুইজন আটক
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ সদস্যদের যেসব নির্দেশ দিলে…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫