জিয়াউর রহমানের মাজারে ডা. সাবরিনা, ক্ষোভ ঝাড়লেন যুবদল সভাপতি

২৬ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩১ AM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:০২ PM
ডাক্তার সাবরিনা ও যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না

ডাক্তার সাবরিনা ও যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না © সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিতর্কিত চিকিৎসক ডা.সাবরিনা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সোমবার (২৫ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে  তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিতর্কিত ডাক্তার সাবরিনা করোনার সার্টিফিকেট জালিয়াতি মামলায় অপরাধী মহিলা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে যাওয়ার সাহস পেল কোথা থেকে? তাকে যারা নিয়ে গেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হোক।’ 

প্রসঙ্গত,  ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অন্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেডলাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।

বিনামূল্যে বুথ থেকে করোনার স্যাম্পল কালেকশনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে আসামি ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট ফি হিসেবে প্রতিটি টেস্টের জন্য আনুমানিক ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে ১৫ হাজার ৪৬০টি রিপোর্ট প্রস্তুত করে তা সেবা গ্রহীতাদের নিকট সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়া সরকার-ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন চলাকালে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মাত্র তিন মাসে ওভাল গ্রুপ এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। যা করোনা টেস্টের টাকা বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগও রয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় প্রতারণা মামলা করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আর এইচ হক আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।

জবির প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন আজ, ১৭৮ বুথে হবে ভোটগ্রহণ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
৬ষষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়াকে দেখে এভারকেয়ার থেকে রাত ২টায় বের হলেন তারেক র…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বাবরের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন তার স্ত্রী
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশজুড়ে তীব্র শীতে কষ্টে মানুষ, শৈত্যপ্রবাহ থাকবে কতদিন?
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ঝালকাঠিতে আ. লীগ নেতাসহ ২৫ জনের মনোনয়নপত্র জমা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫