প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত
অত্যাধিক কাজের চাপ, রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়া, দুশ্চিন্তা ইত্যাদির কারণে অনেক সময় শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমান বেড়ে যায়। কর্টিসল কে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়। কর্টিসল হরমোনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে শরীরে নানা পরিবর্তন ধরা পড়ে। তখন ‘স্ট্রেসে আছি’ না বললেও বোঝা যায় যে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। এই হরমোনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে শরীরে নানা পরিবর্তন ধরা পড়ে। তখন ‘স্ট্রেসে আছি’ না বললেও বোঝা যায় যে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়লে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ধরা পড়ে, যা দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনি স্ট্রেসে আছেন।
মুখে ও পেটে মেদ জমে
মানসিক চাপের কারণেও আপনার ওজন বাড়তে পারে। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ নষ্ট হয় এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। অত্যধিক স্ট্রেসের জেরে মেটাবলিক ডিজ়িজ়ের ঝুঁকি বাড়ে এবং বিপাক হার দুর্বল হয়ে যায়। তখনই ওজন বাড়তে থাকে। মূলত দু’গালে এবং পেটে মেদ জমতে থাকে।
বয়সের আগে ত্বকে বার্ধক্য আসে
স্ট্রেস বাড়লে তার ছাপ স্পষ্ট মুখে ফুটে ওঠে। কর্টিসল হরমোন কোলাজেন ভেঙে দেয় এবং এর প্রভাব ত্বকের উপর দেখা দেয়। চামড়া ঝুলে পড়ে। বলিরেখা বাড়তে থাকে এবং চোখ-মুখ ফ্যাকাশে দেখায়। মুখে তেল ও ব্রণর আধিক্য বাড়ে। ত্বকের ক্ষত সহজে সেরে ওঠে না এবং ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে যায়।
চুল পাতলা হয়ে যায় এবং নতুন চুল গজায় না
কর্টিসল হরমোন আপনার চুলের সৌন্দর্যও কেড়ে নিতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্টিসল। অঝোরে চুল পড়তে থাকে। অনেক সময়ে মাথায় টাক পড়ে যায়। এমনকী নতুন চুলও গজায় না। চুল অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায়। তখন হাজার নামীদামি প্রসাধনী মেখেও চুলের হাল ফেরানো যায় না।
শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়
শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়লে পেশির ক্ষয় হতে থাকে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাত, পা, কাঁধের গঠন পরিবর্তন হতে থাকে। শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ ছাড়া কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়লে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীর সারাক্ষণ ক্লান্ত থাকে। কাজ করার এনার্জি থাকে না। এগুলোই বলে দেয় যে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন।