অপ্রচলিত ফসল খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে: বাকৃবি সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা

২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ PM
সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বাকৃবি উপাচার্য

সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বাকৃবি উপাচার্য © টিডিসি

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিজমির চাপ বাড়ার প্রেক্ষাপটে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপ্রচলিত ও পুষ্টিকর ফসলের চাষ সম্প্রসারণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত এক সম্মেলনে তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত এসব ফসল ভবিষ্যতের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘জলবায়ু সহনশীলতা এবং টেকসই কৃষির জন্য প্ল্যান্ট সায়েন্স’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং সভাপতিত্ব করেন বিএসপিএসটির সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষিতে লবণাক্ততা, খরা, জলাবদ্ধতা ও উচ্চ তাপমাত্রার মতো চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে টেকসই কৃষি নিশ্চিত করতে হলে উদ্ভিদের জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং স্থানীয় ও অপ্রচলিত ফসলের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মানো স্থানীয় উদ্ভিদগুলো নিজেদের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা সহনশীল উদ্ভিদ কিংবা খরা অঞ্চলের পানি সংরক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফসল এসবই জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনে সম্ভাবনার নতুন পথ তৈরি করতে পারে।

ড. ফকির তাঁর প্রবন্ধে কাসাভা (শিমুল আলু), অড়হর, রোজেলার (চুকাই) মতো অপ্রচলিত খাদ্যশস্যের কথা উল্লেখ করেন। এসব উদ্ভিদ স্বল্প সম্পদে উৎপাদন সম্ভব এবং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভিদের বৈচিত্র্য আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার শক্তিশালী অস্ত্র। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা স্থানীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করতে পারলে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার সহায়তা আরও দৃঢ় হবে। উদ্ভিদের ভেতরের বিজ্ঞান আমাদের বুঝতে হবে, গবেষণা বাড়াতে হবে।এই সম্মেলন গবেষকদের নতুন গবেষণার দিকনির্দেশনা দেবে। বিশেষ এলাকার বিশেষ উদ্ভিদ নিয়ে নতুন ধারণা তৈরি হবে।

বিএসপিএসটির সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাসেত মিয়া জানান, সম্মেলনে মোট ১২৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৫৭টি মৌখিক এবং ৭০টি পোস্টার উপস্থাপনা। উদ্ভিদবিজ্ঞান, শারীরবৃত্ত, অঙ্গসংস্থান, জলবায়ু সহনশীলতা, খাদ্যনিরাপত্তা ও সমসাময়িক কৃষি উদ্ভাবনসহ ১০টি থিমেটিক বিষয়ের ওপর এসব প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

সম্মেলনের প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষে অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক সেশন। আগামীকাল দিনব্যাপী চলবে পোস্টার ও মৌখিক উপস্থাপনা। প্রতিটি সেশনের সেরা উপস্থাপককে সম্মাননা দেওয়া হবে।

অত্যন্ত সংকটময় সময় অতিক্রম করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত আটক
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ছাত্রদল প্যানেলের কাছে ফা…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাবির হলে বহিরাগত থাকলে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রাম জেলা যুবদল সভাপতির মৃত্যু
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
রাতে এভারকেয়ারে তারেক রহমানসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠরা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫