শিক্ষাক্ষেত্রে বয়সের বাধা ভাঙতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ডা. দীপু মনি
ডা. দীপু মনি  © ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা অনেক রকমের বাধা বসিয়ে রেখেছি। বয়সের বাধা, কবে পাস করলো সেটার বাধা। সতের বা আঠারো বছর বয়সে আমাদের সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। সিদ্ধান্ত হয়তো সঠিক নিয়েছিলাম একটা তিন বছর পর মনে হলো আমি এটাও নিতে চাই। একটি ডিগ্রি নিয়েছি আরো নিতে চাচ্ছি। এজন্য আমাদের বয়সের বাধা ভাঙতে হবে।

বুধবার (১০ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান নেই। আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করেই যাচ্ছে। তাদের সক্ষমতার থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। এটির কারণে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা থেকে আরো বহুবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে অনেক সমস্যা রয়েছে। আবাসন তার একটি সমস্যা। আবাসন সমস্যার কারণে বুলিং ও র্যাগিং হয় যার কোনটিই আসলে হওয়া উচিত নয়। এই বিষয়গুলোকে আমাদের বিশেষভাবে দেখা দরকার।এই কারণে আমরা চাই সকল বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করুক।

তিনি বলেন, আমাদের এখন সারাদেশে প্রতি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। কাজেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন তিরিশ চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করার কোন দরকার নেই। বরং চিন্তা করতে হবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন কোন বিষয়গুলোর উপর বেশি মনোনিবেশ করবে, কোনগুলোর উপর বিশেষায়িত হবে। এখনি তা ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনের তাগিদ দিয়ে দীপু মনি বলেন, আমাদের বড় ঘাটতি হচ্ছে ভাষার ক্ষেত্রে,আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে জ্ঞান দরকার সেটার ,উদ্যোক্তা হবার ক্ষেত্রে যে জ্ঞান ও দক্ষতা দরকার সেখানে একটা ঘাটতি রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় ঘাটতি হচ্ছে সফট স্কিলস, লিডারশীপ স্কিলস, ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিলস-এ। সারা পৃথিবীতে এখন এগুলোকে খুব বড় করে দেখা হয়। এগুলো আমাদের অর্জন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সকল সময়ে রাজনৈতিক দ্বন্দে যাতে সংগঠিত রাখতে পারে সেজন্য বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। কিন্তু দুঃখ ও বেদনার বিষয় হলো ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। এবং হত্যা করার কারণ ছিল এই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য রাজনৈতিক মানুষ ছিলেন।

এছাড়া বক্তব্য প্রতিযোগিতায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি,  ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।


সর্বশেষ সংবাদ