ঢাবিতে ডিপ্লোমা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সুযোগ দেয়া হয়নি

শিক্ষামন্ত্রী ও  স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট  © টিডিসি ফটো

দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাছাড়া যে কোনও ডিসিপ্লিন থেকে যে কেউ এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন ডিসিপ্লিনারিতে যেন ভর্তি হতে পারে সে ব্যবস্থা থাকা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর উদ্যোগে ‘Future of Education in Bangladesh Prespective’ শীর্ষক এক সেমিনারে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজের প্রসঙ্গে টেনে এনে এসময় ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিদেশে পাবলিক হেলথে (মাস্টার্স) পড়াশোনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে এক বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে করতে দেওয়া হয়নি।

ঢাবিতে ডিপ্লোমা করতে না পারার আক্ষেপের কথা টেনে তিনি আরও বলেন, যদিও আমার এমবিবিএস ডিগ্রিটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু এখানে ভর্তি হতে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ডিগ্রি লাগবে। তো সেটা আর করতে পারিনি। তাহলে কেন নয়? যেখানে সারাবিশ্বে মাল্টি ডিসিপ্লিনারির কথা বলা হচ্ছে। আমরা নিজেরাই বলছি বারবার। কিন্তু প্রতি জায়গায় আমরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছি। এই প্র্যাকটিসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

বিদেশে পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, তখন আমার বয়স হবে ৩০-৩৫ বছরের বেশি ছিলো। তখন আমার সঙ্গে ২১-২২ বছরের ছেলে-মেয়েরা পড়েছে, আমার ৬০-৬৫ বছরের লোকও পড়েছে। আমার সঙ্গে পড়েছে কোন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার নাসার বিজ্ঞানীও পড়েছে। নার্স পড়েছে। নানান রকম, নানান পেশার, বয়সী এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক পড়েছে আমার সঙ্গে। আমার মনে হয় সবচেয়ে সমৃদ্ধি অভিজ্ঞতা সেই এক বছরে পেয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধরেন কেউ কারিগরি থেকে ডিপ্লোমা করে বের হয়েছে, তার মনে হতে পারে সে প্রকৌশলী থেকে পড়তে চাই। তাই তারা শুধু কেন ডুয়েটে যাবে? এটা যেন সে সব জায়গায় (বিশ্ববিদ্যালয়) যেতে পারে আমাদের এই পথগুলো খুলতে হবে।

“দেখুন আজকে যাদি মেধাবী শিক্ষার্থীরা জানে যে, একটা ডিপ্লোমা করে পরে কোনদিন প্রকৌশলী হতে পারবো কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়তে পারবো। কিংবা আমি চাই নৃবিজ্ঞানে একটি মাস্টার্স করতে পারবে কিংবা সমাজবিজ্ঞানে একটি অনার্স করতে পারবে। তাহলে কেন নয়? আমরা মাল্টি ডিসিপ্লিনারির কথা বলছি। আমরা জ্ঞান চর্চার কথা বলছি। একটি ডিসিপ্লিনারি থেকে আরেকটা ডিসিপ্লিনারিতে যাবার স্বাধীনতাটাকে কেন সব জায়গায় আটকে দিচ্ছি? 


সর্বশেষ সংবাদ