২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৩৮

বশেমুরবিপ্রবিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

মানবন্ধনে ছাত্র ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী গণধর্ষণ এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম।

আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় বলছে তদন্ত করতে আর ইউজিসি দিচ্ছে পুরস্কার!

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশজুড়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি জেকে বসেছে। জোর করে ক্ষমতাদখলকারী সরকার মানুষের ওপর যেমন নির্যাতন নামিয়ে আনছে, আবার প্রতিবাদ করলে সেটাও গায়ের জোরে দমন করে। বশেমুরবিপ্রবিতে গণধর্ষণের ঘটনার দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমেছিল। তাদের দাবির মধ্যে একটি ছিল সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট, পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় অনিরাপদ পরিবেশে থাকতে বাধ্য হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের কথা জানানোর জন্য রাজপথে বিক্ষোভ করছিল। সেই বিক্ষোভে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

আরও পড়ুন: ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করুন’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত বছর এই দিনে লেখালেখির জন্য কারা অভ্যন্তরে লেখক মুশতাককে ৬ বার জামিন নাকচ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল এই সরকার। অথচ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সায়েম সোবহান অনভীরকে জামিন দিতে এক সেকেন্ডও দেরি করা হয়নি। এমনকি অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট এর রিপোর্ট আসা পর্যন্তও অপেক্ষা করা হয়নি। অর্থাৎ এই বিচার ব্যবস্থা ধর্ষককে রক্ষা করে এবং মত প্রকাশ করলে তাকে নির্বিচারে হত্যা করে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান এবং হামলাকারী সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।