বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টারের (এনএমইএফসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত ভার্চুয়ালি এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ: সৌমিত্র শেখর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং এনএমইএফসি’র মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. ইউ ফুজিয়াং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম এবং এনএমইএফসি’র উপ-মহাপরিচালক অধ্যাপক চেন ঝি উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে। এছাড়া, বাংলাদেশে সমুদ্রের মডেলিং, মহাসাগরের পূর্বাভাস ব্যবস্থা, আবহাওয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি প্রশমন ও প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দু’প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় এবং গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত সোহাগীর

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য এনএমইএফসি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ