স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল মেঘলার, বাধ্য করতেন ভিডিও কলে থাকতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী মেঘলা চেধুরী ইলমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মেঘলার স্বামী ইফতেখার কানাডা প্রবাসী। আর ঢাকার বনানীতে মেঘলা-ইফতেখার দম্পতির বাসা ছিল। তাদের উভয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। প্রবাসী স্বামী ইফতেখার প্রায় মেঘলাকে ভিডিও থাকতে বাধ্য করতেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মেঘলাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পড়ুন: প্রবাসী স্বামী ফেরার ৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন ঢাবি ছাত্রী
এদিকে, মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার স্বামী ইফতেখার শামীমকে আটক করেছে পুলিশ। বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আজম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেঘলার সহপাঠী আশিকুর রহমান জানান, লকডাউনের মধ্যে মেঘলার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর সে আর ক্যাম্পাসে আসেনি। কয়েকদিন আগে একটা ইম্প্রুভ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিল। সেদিন তার সঙ্গে বাসার কাজের মেয়েকে পাঠানো হয়। তখন আমাদের কিছু বলতে চাইছিল। কিন্তু পুরো সময় তাকে ভিডিও কলে থাকতে হয়েছিল। ইলমা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে- তা তার স্বামী পর্যবেক্ষণ করছিলো।
পড়ুন: মৃত ঢাবির ছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন
আরেক সহপাঠী নুসরাত তিথি জানান, তার স্বামীর সঙ্গে একটু ঝামেলা চলছিল। করোনার মধ্যে বিয়ে হওয়ার পর মেঘলা ক্যাম্পাসে আসেনি। একদিন ফরম ফিলআপ করতে এসেছিলো। সেদিন ভিডিও কলে থাকতে হয়েছে তাকে। মেঘলাকে তার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতো না।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, হত্যার অভিযোগে মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদিনকে আটক করা হয়েছে। এখনও মেঘলার পরিবার অভিযোগ করেনি। তবে আমরা ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জোরে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে বনানী থানা পুলিশ আটক করেছে। আইনি প্রক্রিয়া থেকে অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ছাত্রীর পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
উচ্চশিক্ষা থেকে আরও পড়ুন