২৫ ফুট উচ্চতার ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ’ হচ্ছে ঢাবির মল চত্বরে

ঢাবির মল চত্বর
ঢাবির মল চত্বর  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মল চত্বরে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘সেনটেনারি মনুমেন্ট’ (শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ)। ২৫ ফুট উচ্চতার স্তম্ভটির বেদির আয়তন হবে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট)। স্মৃতিস্তম্ভটির দৈর্ঘ্য হবে ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট।

একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত জুরিবোর্ডের মাধ্যমে শতবার্ষিক এই স্মৃতিস্তম্ভের স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সেই নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়।

নকশা প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান জুরিবোর্ডের বিবেচনায় বিজয়ী হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো আখতারুজ্জামান প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানসহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও আইএবির সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

আরও পড়ুন: নামটা ‘মল চত্বর’ হলো কেন?

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্তি ও উদারতা’ শীর্ষক শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এ জন্য একটি বিশেষায়িত জুরিবোর্ডের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে। এটি হচ্ছে শতবর্ষের একটি উদ্ভাবন। এই স্মৃতিস্তম্ভে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। যুগে যুগে এটি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদারনৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।

জানা যায়, শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে নির্মাণ করা হবে। স্মৃতিস্তম্ভটির বেদির আয়তন হবে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট)। দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট এবং উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা হবে ৫ ফুট। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি হিস্ট্রি প্যানেল নির্মাণ করা হবে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে। স্তম্ভটি নির্মাণের জন্য মল চত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ