অপুর শেষ বিদায়ের সঙ্গী হলো সহপাঠীদের চোখের জল

চোখের জলে অপুকে বিদায় জানাচ্ছে তার বন্ধুরা
চোখের জলে অপুকে বিদায় জানাচ্ছে তার বন্ধুরা  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহাদি অপুর জানাজা শেষে তাকে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে তার নিজ জেলা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির দিকে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। স্বরূপকাঠিতে অপুকে দাফন করা হবে। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। 

জানাজায় ইমামতি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন। অপুর সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আত্মীয়-স্বজন জানাজায় অংশ নেন।

অপুর বন্ধুবান্ধব উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুহূর্তেই গোটা এলাকার পরিবেশ বদলে যায়। উপস্থিত অনেকের চোখ দিয়েই কান্না ঝরছিল।  

মোরশেদ ভূঁইয়া নামে অপুর এক বন্ধু কান্নাজড়িত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অসম্ভব মেধাবি ছিল অপু। তাকে অকালে হারিয়ে ফেলবো আমরা তা কল্পনাও করিনি।

তার এক সহপাঠী ও রুমমেট বলেন, ও অনেক ব্রিলিয়ান্ট ছিল। আমরা ফাঁকিবাজি করতাম কিন্তু ও পড়াশোনায় সিরিয়াস ছিল। ওর মেধা যে সমাজের কোনো কাজে লাগলো না এটা দুঃখজনক। অপু অনেক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল। ক্যাম্পাসের ভালোর জন্য সে কাজ করত। ফার্স্ট ইয়ারে ও এক ইয়ার গ্যাপ দিয়ে আমাদের সাথে আবার ভর্তি হয়। এর আগে ও অবশ্য স্লিপিং পিল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের বলেছিল আর কখনো এমন করবে না।

শাহদাত নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অপুর মতো সাহসী ছেলেদের ধরে রাখতে পারলাম না এটাই আমাদের ব্যর্থতা। অপু ওপারে ভালো থাক। আমাদের চেষ্টা থাকবে আর কোনো অপুকে যেন এভাবে হারাতে না হয়।

গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চানখারপুলের একটি ভবন থেকে মাসুদ আল মাহাদি (অপু)’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত অপু ২০১৮ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। 

একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, নিহত অপুর হাঁটু মেঝেতে স্পর্শ করা এবং তার দেহ ঝুলছিল।নিহতের বন্ধু ও বিভাগের জুনিয়রদের সন্দেহ, তাকে হত্যা করে পরে ফাঁস দেওয়া হয়েছে।তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ