সব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই: জবি ভিসি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান  © ফাইল ফটো

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর দেশের সব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্ববায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যদের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

জবি উপাচার্য বলেন, এবারে প্রায় ১৬-১৭ লাখ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রয়েছে। আমার ধারণা, উচ্চশিক্ষায় এ পরিমাণ শিক্ষার্থীকে নিতে হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে নতুন করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু এটা করেও সব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্থান সংকুলান করা যাবে না।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমার সাজেশন হচ্ছে- সব শিক্ষার্থীর ‍উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন আছে কিনা এটা আমাদের আগে নির্ধারণ করতে হবে। আমরা বলেছিলাম, কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে। কারণ এক সময় কারিগরি শিক্ষা অবহেলিত থাকলেও বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর সেটির সার্বিক উন্নতি ঘটেছে। কারিগরিতে এখন দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে।

উচ্চশিক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনার্স-মাস্টার্স করে সবাইকে উচ্চশিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে বিষয়টি এমন নয়। দেখা যায় অনেকে উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরি পাচ্ছে না। আমরা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ বিড়ম্বনা এড়াতে পারি। সেটিই ভালো হবে।

এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও। তিনি বলেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর প্রশ্ন আসে উচ্চশিক্ষার। উচ্চ মাধ্যমিকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এ ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হয়ে অনেকে পরবর্তী স্তরে শিক্ষার সুযোগ পায়। আর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয় উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষায় সীমিত সংখ্যক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির চাপও থাকে বেশি। শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন সংখ্যা বহুগুণ কম। এবার তাতে চাপ পড়বে আরও বেশি। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবেন উচ্চ শিক্ষা থেকে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ