ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করবেন সামিয়া রহমান
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২৫ PM , আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ০২:৫৮ PM
গবেষণা ও পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভায় ট্রাইব্যুনালের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এ শাস্তির সিদ্ধান্ত না মেনে সভার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সামিয়া রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সামিয়া রহমান বলেন, আমি সিন্ডিকেট সভার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব। কারণ আদালত ডকুমেন্ট দেখবে, শিক্ষক রাজনীতির নোংরা খেলা খেলবে না আদালত।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে আমি থিসিস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত না। এরপরও আমাকে ঢাবির সিন্ডিকেট দোষী সাব্যস্ত করেছে। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তদন্ত শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন ড. সাদেকা হালিম আমাকে বার বার (সামিয়া) দোষী সাব্যস্ত করেন। অথচ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে- আমার দোষ নেই। আমি দোষী হলে অ্যাডিটোরিয়াল বোর্ডকেও দোষী করতে হবে। মারজান তদন্ত কমিটির কাছে বারবার নিজের দোষ স্বীকার করে বলেছেন, সে অসাবধানতা ভুল করেছেন।
সামিয়া রহমানতে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন করা হয়েছে। শাস্তি পাওয়া অপর দুই শিক্ষক হলেন- অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওমর ফারুক। এরমধ্যে মাহফুজুল হককে শিক্ষা ছুটি শেষে যোগদান করার পর দুই বছর লেকচারার হিসেবেই থাকতে হবে। আর পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি করায় ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে লেকচারার পদে অবনমন এবং ডিগ্রী বাতিল করা হয়েছে।
সামিয়া রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি চৌর্যবৃত্তির বিচার করেন তিনি কি বিচারক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে। সবার আগে চৌর্যবৃত্তি সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। সকল শিক্ষককের সম্মতিতে চৌর্যবৃত্তির সংজ্ঞা ঠিক করতে হবে। আমাদের এখনও চৌর্যবৃত্তির সুনির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি করলে সেখানে শাস্তি হোক এটি চাই কিন্তু গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি কাকে বলে সেটির আগে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।