১৯ মে ২০২৫, ১৮:২২

ভবঘুরে ও মাদকসেবীদের সরানোসহ পাঁচ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

পাঁচ দফা দাবি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের মানববন্ধন  © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ, মাদকসেবী এবং উদ্বাস্তুদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

আজ সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন পালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ক্যাম্পাস ভবঘুরে, মাদকাসক্ত, অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার শঙ্কা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে আমরা সার্বিকভাবে বিভিন্ন দাওয়া সংবলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর সহকারী প্রক্টরদের সামনে উপস্থাপন করেছি এবং প্রতিকার নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করেছি।

আরও পড়ুন: ইশরাক হোসেনের আক্রমণাত্মক কার্যক্রমের কারণ খুঁজে পেলাম না: আসিফ

 তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের বাহিরে নারীদের ৩টি হল আছে। সুফিয়া কামাল এবং ফজিলাতুন্নেছা-মৈত্রী হল। দুই এরিয়ার মেয়েরা চলাচলে নিরাপত্তার শঙ্কায় ভোগে। দুইটা পিক আওয়ার সকাল ৬টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এবং সংন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত সুফিয়া কামাল এবং ফজিলাতুন্নেছা-মৈত্রী হল এরিয়ার দুইজন করে প্রক্টরিয়াল টিমের মেম্বার মোতায়েন করা। যাতে করে নারী শিক্ষার্থীরা নির্ভিঘ্নে চলাচল করতে পারে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এই দুই সময়ে মোবাইল টিমের সদস্যরা যেন নিয়োজিত থাকে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সাহায্য পেতে পারে৷

এদিকে, প্রক্টরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় নানান ধরনের ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ, মাদকসেবী এবং উদ্বাস্তুদের অবস্থান। তাদের উপস্থিতি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। বিশেষত সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসের ভিন্ন ভিন্ন মোড়ে তাদের শয়নরত, ঝগড়ারত অথবা মাদক সেবনরত অবস্থায় দেখা যায়। প্রায়শ তারা নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে এবং চলাফেরায় বাঁধার সম্মুখীন করে। মূল ক্যাম্পাস থেকে তুলনামূলক দূরে নারী শিক্ষার্থীদের তিনটি হল অবস্থিত। এসব হলের সম্মুখে এবং যাতায়াতের রাস্তায় এসব ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ, মাদকসেবী এবং উদ্বাস্তুদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং প্রায়শ এসব হলের নারী শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। সুফিয়া কামাল হলের নিকটেই ফুটওভার ব্রিজে এমন অসংখ্য লোক নৈশযাপনসহ নিজেদের ঘাঁটি করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার নতুন অধ্যক্ষের যোগদান

স্মারকলিপিতে পাঁচদফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

১। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত এসকল মানুষদের খুব দ্রুত ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নিতে হবে। 

২। ক্যাম্পাস থেকে তুলনামূলক দূরে অবস্থিত নারীদের হল এলাকায় সন্ধ্যা থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের অবস্থান আরো

জোরদার করতে হবে।

৩। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মাদকসেবীসহ ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ ও উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় আসতে হবে, যাতে করে তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় ফিরে না আসে।

৪। ক্যাম্পাসে বেড়ে উঠা উদ্বাস্তু শিশু-কিশোরদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের সহায়তা করতে হবে এবং

৫। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে হবে।