রাবির শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ইসলামী ছাত্রশিবির

শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১২৫ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা। সংগঠনটির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র আল-কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের ১-৭ পর্যন্ত পজিশনধারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, বই ও খাতা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী বক্তব্যে রাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে সংগঠনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ হয়। ইসলামী ছাত্রশিবির এক আদর্শের সংগঠন। আদর্শের সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ট্যাগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে রেখে ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও কিছু দল আমাদের সাথে আদর্শের দিক দিয়ে না পেরে বিভিন্নভাবে ট্যাগ দেওয়া শুরু করেছে। যা খুবই নেতিবাচক।’ 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান খুবই ইতিবাচক। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে সংযুক্ত যা এই সংগঠনের মূল সৌন্দর্য।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করছি যেখানে স্বাধীনতাত্তোর মেধার কোনা মূল্য দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার পর দেশে যেভাবে কারিগরী, গবেষণা কার্যক্রমের বিকাশ হওয়া দরকার ছিল সেইভাবে হয়নি। যদি আমরা সেইভাবে দেশকে গড়তে পারতাম তাহলে চীনের জন্য তাইওয়ান যেমন হুমকি তেমনি বাংলাদেশও ভারতের জন্য হুমকি হতো।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট রেজিমেরা একটা অথর্ব শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে গেছে৷ শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার অতীব জরুরি। এসময় যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের তিনি অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।’

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘আমি যখন হল প্রভোস্ট ছিলাম তখন দেখতাম যে টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীরা হলে সিট পাচ্ছে। বর্তমানে সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে। আজকে যারা পুরস্কৃত হচ্ছো যারা দেশের বিভিন্ন পজিশনে যাবে তারা সবাই সৎভাবে কাজ করার চেষ্টা করবে।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল, সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ